সংক্ষিপ্ত
এই দিনে কোনও বিশেষ মুহুর্ত না করেও যে কোনও শুভ কাজ করা যায়। এই পুরো দিনটি মাঙ্গলিক কাজ করার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া ৩ মে পালিত হবে, যা খুবই বিশেষ। এবার অক্ষয় তৃতীয়ায় একটি বিশেষ কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত শুভ।
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়াকে অক্ষয় তৃতীয়া বলা হয়। অক্ষয় মানে যার ক্ষয় হয় না। অক্ষয় তৃতীয়াকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনটিকে বিবাহ, বাড়িতে প্রবেশ, একটি নতুন বাড়ি এবং যানবাহন কেনার জন্য একটি শুভ সময় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ এই দিনে কোনও বিশেষ মুহুর্ত না করেও যে কোনও শুভ কাজ করা যায়। এই পুরো দিনটি মাঙ্গলিক কাজ করার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই বছর অক্ষয় তৃতীয়া ৩ মে পালিত হবে, যা খুবই বিশেষ। এবার অক্ষয় তৃতীয়ায় একটি বিশেষ কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত শুভ।
অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ সময়
অক্ষয় তৃতীয়ার তারিখ শুরু হয় - ৩ মে সকাল ৫ টা বেজে ১৯ মিনিটে
অক্ষয় তৃতীয়া তিথি সমাপ্তি - ৪ মে সকাল ৭ টা বেজে ৩৩ মিনিটে।
রোহিণী নক্ষত্র- ৩ মে বেলা ১২ টা বেজে ৩৪ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ৪ মে সকাল ৩ টে বেজে ১৮ মিনিটে শেষ হবে।
৫০ বছর পর এত বড় কাকতালীয় ঘটনা
এবার মঙ্গল রোহিণী নক্ষত্রের শোভন যোগে পালিত হবে অক্ষয় তৃতীয়া। এমন শুভ যোগ অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপনের কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে এত বছর পরে, যেখানে ৫০ বছর পর এই দিনে গ্রহগুলির অবস্থানও খুব বিশেষ হতে চলেছে। অক্ষয় তৃতীয়ায়, চাঁদ তার উচ্চ রাশিতে থাকবে বৃষ রাশিতে এবং শুক্র থাকবে মীন রাশিতে। এ ছাড়া শনি থাকবেন নিজের রাশি কুম্ভ রাশিতে এবং দেবগুরু বৃহস্পতি থাকবেন নিজের রাশি মীন রাশিতে। অর্থাৎ এমন অনুকূল অবস্থানে ৪টি গ্রহ থাকা খুবই বিশেষ এবং শুভ। এই শুভ সংমিশ্রণে কোনও শুভ বা শুভ কাজ করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- অক্ষয় তৃতীয়ায় দূর হোক সকল দুর্ভোগ, জেনে নিন বিশেষ তিথি ও শুভ মুহূর্ত
আরও পড়ুন- কেন উৎযাপন করা হয় অক্ষয় তৃতীয়া, জেনে নিন বিশেষ এই দিনের তাৎপর্য
আরও পড়ুন- অক্ষয় তৃতীয়ায় করুন এই কাজ, দূর হবে বাড়ির সমস্ত আর্থিক সংকট
অক্ষয় তৃতীয়ায় দান করুন
গ্রহ-নক্ষত্রের এমন শুভ অবস্থানের কারণে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দান করলে অনেক পুণ্য লাভ হবে। এর পাশাপাশি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও শুভ ফল পাওয়া যাবে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে জলভর্তি কলসিতে ফল দান করা খুবই শুভ হবে। এজন্য ২টি কলশ দান করতে হবে। একটি পূর্বপুরুষের নামে এবং অন্যটি ভগবান বিষ্ণুর নামে দান করা উচিত। এতে করে পিতৃ ও ভগবান বিষ্ণু উভয়েই প্রসন্ন হন এবং ঘরে সুখ শান্তি থাকে।