সংক্ষিপ্ত
মা দূর্গার বাম পাশে থাকেন দেবী সরস্বতী, আর ডান দিকে থাকেন ঐশ্বর্যের দেবী মা লক্ষ্মী (Maa Laxmi)। ধারণা অনুসারে, মা লক্ষ্মী হলেন দেবী দুর্গা ও শিবের কন্যা। দশমীর পাঁচ দিন পর আবার মর্ত্যে আসেন মা লক্ষ্মী। তবে, এই ধারণা শুধু বাঙালিদের মধ্যেই প্রচলিত। বাঙালিদের কাছেই মা লক্ষ্মী হলেন দেবী দুর্গার কন্যা। অন্যান্য রাজ্যে প্রচলিত আছে ভিন্ন কাহিনি।
মা লক্ষ্মী হলেন দেবী দুর্গা ও শিবের কন্যা। যে কারণে মা দুর্গার সঙ্গে মর্ত্যে আসেন তিনি। মা দূর্গার বাম পাশে থাকেন দেবী সরস্বতী, আর ডান দিকে থাকেন ঐশ্বর্যের দেবী মা লক্ষ্মী (Maa Laxmi)। দুর্গাপুজো শুধু দেবী দুর্গার পুজো নয়। বাহন সমেত আরও চার দেবদেবীর পুজো হয়। এমনকী, মহিষাসুরও সমান ভাবে পুজিত হন এই সময়। দশমীর পাঁচ দিন পর আবার মর্ত্যে আসেন মা লক্ষ্মী। তবে, এই ধারণা শুধু বাঙালিদের মধ্যেই প্রচলিত। বাঙালিদের কাছেই মা লক্ষ্মী হলেন দেবী দুর্গার কন্যা। অন্যান্য রাজ্যে প্রচলিত আছে ভিন্ন কাহিনি।
মা লক্ষ্মী (Maa Laxmi) হলেন ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী। সংসারে শ্রীবৃদ্ধি করতে, দুঃখ বিনাশ করতে, বাধাবিঘ্ন দূর করতে, আর্থিক উন্নতি করতে, ঋণ থেকে মুক্তি পেতে দেবীর আরাধনা করা হয়। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হয় এবং গ্রহ দোষ কাটে মা লক্ষ্মীর কৃপায়।
কথিত আছে, সমুদ্র মন্থনে উৎপত্তি হয় দেবীর। পুরাণ অনুসারে, সমুদ্র মন্থনে জন্ম হয়েছিল মা লক্ষ্মীর (Maa Laxmi)। ভগবান বিষ্ণুর (Lord Vishnu) পরামর্শে স্বর্গের ঐশ্বর্য পাওয়ার জন্য দেবতা ও অসুর কুল সমুদ্র মন্থন শুরু করেন। কর্মাবতারের ওপর মন্দার পর্বতকে বসিয়ে অনন্তনাগকে দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে সমুদ্রমন্থন হয়। অমৃতকুম্ভ, ঔরাবত, হলাহলের মাঝে উঠে এসেছিলেন দেবী লক্ষ্মীও। কথিত আছে, মা লক্ষ্মী ছিলেন শ্রী বিষ্ণুর সহধর্মীণী। সে কারণে মা লক্ষ্মী বিষ্ণুপ্রিয়া নামেও পরিচিত।
মা লক্ষ্মীর (Maa Laxmi) কয়টি রূপ আছে। এই আটটি স্বরূপের পুজো করলে তেজ, বল, সাহস, সৌন্দর্য ও সমস্ত ধরনের সুখ লাভ হয়। জীবনে সফলতা ও অর্থ উপার্জনের জন্য সকলেই পরিশ্রম করে থাকেন। হিন্দু ধর্মে ধন-সম্পদের দেবী হলেন মা লক্ষ্মী। তাই পরিশ্রমের পাশাপাশি লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে পারলেই ধন বৃদ্ধি ঘটে। জেনে নিন মা লক্ষ্মীর এই সকল রূপ কী কী।
আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মী হল আদিরূপ। ইনি ঋষি ভৃগুর কন্যারূপে লক্ষ্মীর অবতার। সমুদ্র মন্থনের সময় এই আদিলক্ষ্মী প্রকটিত হন।
মা লক্ষ্মী অর্থ ও স্বর্ণদাত্রী হিসেবে পরিচিত। এই রূপটি ধনলক্ষ্মী নামে পুজিত বন। তিনি সাধকের সকল সুখ ও সমৃদ্ধি প্রদান করেন।
ঐশ্বর্য লক্ষ্মী রূপে পুজিত হন দেবী লক্ষ্মী। দেবীর এই রূপের পুজো করলে মান-সম্মান অর্জন সম্ভব।
সন্তান লক্ষ্মী হিসেবে পুজিত হন দেবী। মা লক্ষ্মীর আরাধনায় সন্তান লাভ করা সম্ভব।
ধান্য লক্ষ্মী রূপে পুজিত হন দেবী। কৃষকের গৃহে নবান্নের সময় ধান্যলক্ষ্মী হিসেবে পুজিত হন তিনি।
গজ লক্ষ্মী রূপে পুজিত হন দেবী। যখন গবাদি পশু ও হস্তীরূপে মা লক্ষ্মীর পুজো হন তখন তাকে গজ লক্ষ্মী বলা হয়।
দেবীর বীর লক্ষ্মী রূপটি হল যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব ও ধৈর্য্যের রূপ।
আরও পড়ুন: Ganesh Chaturthi: জেনে নিন লম্বোদরা সংকষ্টী গণেশ চতুর্থী পালনের নিয়ম ও ব্রতকথা