সংক্ষিপ্ত
শিব পুরাণ অনুসারে, হনুমান (Lord Hanuman) হলেন ভগবান শিবের (Lord Shiv) অবতার। ভগবান হনুমান প্রসঙ্গে কয়টি অজানা কথা জেনে নিন।
কথাতেই আছে, ‘হনুমান চাল্লিশা যে করেন পঠন। সর্বকার্য্যে সিদ্ধিলাভ করে সেইজন।’ প্রতি মঙ্গলবার (Tuesday) ও শনিবার (Saturday) অনেকেই সঙ্কটমোচন হনুমানের পুজো করে থাকেন। বিশ্বাস করা হয় যে নিয়ম করে হনুমান চাল্লিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করলে সকল বাধা কেটে যাবে। সে কারণে, কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগেও হনুমান চাল্লিশা পাঠ করে থাকে। আজ ভগবান হনুমান প্রসঙ্গে কয়টি অজানা কথা জেনে নিন।
হিন্দু শাস্ত্রে, একাধিক দেব-দেবতার উল্লেখ আছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন বানর ভগবান হনুমান। ভগবান শিবের অবতার মনে করা হয় তাঁকে। শিব পুরাণ অনুসারে, হনুমান হলেন ভগবান শিবের অবতার। রাবণকে পরাস্ত করার জন্য শ্রী বিষ্ণু (Sree Visnu) যখন মর্ত্যে আসবেন বলে স্থির করেন,তখন ভগবান শিবও হনুমানের রূপ ধারণ করে মর্ত্যে আসেন। তিনি নিজের যাত্রা জুড়ে রামের সেবা করতে চেয়েছিলেন। প্রচলিত আছে যে, ভগবান বিষ্ণু ও ভগবান শিব (Lord Shiv), একে অপরের অস্তিত্বকে সম্পূর্ণ করেন।
হনুমানের জন্ম হয়েছিল দেবী অঞ্জনার গর্ভে। হনুমানের মা দেবী অঞ্জনা (Devi Anjana) ছিলেন পুঞ্জিকাস্থল নামে একজন অভিশপ্ত স্বর্গীয় পরী। নিজের আচরণের জন্য তিনি একজন ঋষি দ্বারা অভিশপ্ত হন। ঋষি তাকে বানর রাজকুমারী হওয়া অভিশাপ দিয়েছিলেন। পরে, অঞ্জনা কেশরী নামে একজন বানর প্রধানের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। অঞ্জনা ও কেশরীর পুত্র হিসেবে জন্ম দেন হনুমানজী। তিনি কেশরী নন্দন ও অঞ্জনেয়া নামেও পরিচিত। তিনি পবন পুত্র নামেও খ্যাত।
আরও পড়ুন: Gita Jayanti: কীভাবে পালিত হয় গীতা জয়ন্তী উৎসব, জেনে নিন এই পুজোর রীতি
রামায়ণ মহাকাব্যে হনুমানকে প্রচুর শক্তি ও সর্বোচ্চ জ্ঞান ও বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। জানা যায়, ইন্দ্র দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন পবন পুত্র (Paban Puta)। তখন মারাত্মকভাবে আহত হন এবং জ্ঞান হারান। বায়ু দেবতা তার পুত্রের আচরণে ক্রুদ্ধ হয়ে বায়ু চলাচল বন্ধ করে দেন। তখন সকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এমন সময় দেবতারা তাঁকে অনুরোধ করলে তিনি আবার বায়ুর অবস্থান স্বাভাবিক করেন। তারপর সকল ভগবানের থেকে তিনি অমরত্বের বর পান।
ভগবান হনুমান একজন ব্রক্ষ্মচারী ছিলেন। তবুও তার মকরধ্বজ নামে একজন পুত্র ছিল। যার জন্ম হয়েছিল একটি মাছ থেকে। মকরধ্বজের জন্মের পিছনে কিংবদন্তির অনেকগুলো সংস্করণ ছিল। তবে, প্রচলিত আছে যে, লঙ্কা পোড়ানোর পর প্রচণ্ড গরমের কারণে হনুমান সমুদ্রে (Sea) ডুব গিয়েছিলেন। প্রচন্ড গরমের কারণে, কার কিছু ঘামের ফোঁটা একটি বিশাল সরীসৃপের মতো মাছের মুখে পড়ে। এভাবেই সেই মাছের থেকে জন্ম নেন মকরধ্বজ।