সংক্ষিপ্ত

দিওয়ালির দিনে বছরের শেষ সূর্য গ্রহণ। হিন্দু মতে এই সময় খাবার ও জল খেতে নেই। তবে বিজ্ঞানও এই বিষয়ে মত দিয়েছে। 

দীর্ঘ দিনের পুরনো বিশ্বাস গ্রহনের সময় খাবার খাওয়া ও জল পান করা ঠিক নয়। দীপাবলির দিনে হচ্ছে সূর্য গ্রহণ। অর্থাৎ ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর সূর্য গ্রহণ । এটি বছরের শেষ সূর্য গ্রহণ। স্থায়ী হবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি। যদিও ভারতের অনেক অংশ থেকে এটি দেখা যাবে না। কিন্তু নিয়ম মানা জরুরি। সূর্য গ্রহণের সময় খাবার খাবেন না। এই নিময়ের কিছু পৌরানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। 

শাস্ত্র এবং ঐতিহ্যগত লোককাহিনী অনুসারে, গ্রহনকাল অশুভ এবং তখন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি অনেক রোগের দিকে নিয়ে যায়।

বিশ্বাস অনুসারে,  বলা হয় যে সূর্যগ্রহণের সময় যেহেতু সূর্যালোক অনুপস্থিত থাকে, তাই ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে খাবার নষ্ট করতে পারে। এটাও বলা হয় যে এটি রান্না করা খাবারের চেয়ে কাঁচা খাবারের বেশি ক্ষতি করে। তবে সূর্যগ্রহণের সময় ছোট শিশু, অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মহিলারা 'সাত্ত্বিক' খাবার খেতে পারবেন।

খাবার খাওয়া ও না খাওয়া- হিন্দু শাস্ত্রের বিধান অনুযাযী সূর্য গ্রহণের পর বেঁচে থাকা খাবার না খেয়ে তা ফেলে দেওয়া জরুরি। বলা হয় গ্রহণের সময় সূর্যের রাশ্মি দুষিত হয়ে যায়। তাই সেই সময়ের খাবার খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। 

গ্রহণের সময় যে কোনও খাবারই হজম করা কঠিন। এই সময় আমিষ খাবার না খাওয়াই শ্রেয়। তাছাড়া পেঁয়াজ, রুটি, রসুন, অ্যালকোহল বা গাঁজানো খাবার না খাওয়াই ভাল। এগুলি খেলে হজমের সমস্যা হয়। 

সূর্য গ্রহণের সময় জলও খেতে নেই। যদি খাবার বেঁচে থাকে তাহলে তা তুলসী পাতা দিয়ে রাখতে হয়। কারণ তুলসী পাতায় অ্যান্ট ব্যকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে। 

বৈজ্ঞানিক সত্য- 
বিজ্ঞান বলছে গ্রহণের সময় খাবার খাওয়া ও রান্না করা নিষিদ্ধ এটি একটি পৌরানিক বিষয় নয়। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও রয়েছে। নাসার দাবি এই সময় শুধুমাত্র রান্না খাবার খেলেই যে সমস্যা হয় তা নয়। প্যাকেটজাত খাবার খেলেও সমস্যা হয়। সূর্যের রশ্মীর কারণে এই সমস্যা হয় বলেও দাবি নাসার। যদিও অনেক বৈজ্ঞানিক আবার এই দাবি মানতে নারাজ। তাদের কথায় সূর্য গ্রহণ প্রাকৃতিক বিষয়। এরসঙ্গে সূর্যের রশ্মীর দুষিত হওয়ার কোনও যোগ নেই। তাই গ্রহণের সময় খাবার ও জল খেলে কিছু হয় না।