সংক্ষিপ্ত

জানেন পৃথিবীর কোন স্থানে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়? শুনতে অবাক লাগলেও এই ঘটনা একেবারে সত্য। এই স্থানে এসে হাওয়াও তার দিক পরিবর্তন করে নেয়। এই স্থানের ধ্বজাও হাওয়ার উল্টো দিকে উড়তে থাকে। । তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত এই মন্দির সম্পর্কে।
 

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় আজও এই পৃথিবীতেই সুরক্ষিত রয়েছে। শুধু সুরক্ষিত নয়, এই হৃদয় আজও সচল রয়েছে। জানেন পৃথিবীর কোন স্থানে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়? শুনতে অবাক লাগলেও এই ঘটনা একেবারে সত্য। এই স্থানে এসে হাওয়াও তার দিক পরিবর্তন করে নেয়। এই স্থানের ধ্বজাও হাওয়ার উল্টো দিকে উড়তে থাকে। এই স্থানে সূর্যও মন্দিরের ছায়া মাটিতে ফেলতে অক্ষম। এই মন্দিরে আজও এমন ভাবেই শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় রাখা হয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত কারও নজরে আসেনি। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত এই মন্দির সম্পর্কে।

রহস্যে ভরা মন্দির-
বহু রহস্যে ভরা এই মন্দির হল ওড়িষার পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির। একেবারেই ঠিক শুনেছেন, পুরীর এই মন্দিরে আজও সুরক্ষিত রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়, যা আজও সচল রয়েছে। এই মন্দিরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগন্নাথ রূপে ভাই বলভদ্র ও বোন শুভদ্রার সঙ্গে বিরাজমান। এই মন্দিরের মূর্তি পাথরের নয়, কাঠের তৈরি। প্রত্যেক ১২ বছর পর পর এই মূর্তি বদল করা হয়। ২০১৫ সালে শেষ বার এই মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল। এই মন্দিরের জগন্নাথদেবের মূর্তির মধ্যেই আজও সচল রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হৃদয়। 



ব্রহ্ম পদার্থ
মহাভারতের যুদ্ধের ৩৬ বছর পর শ্রীকৃষ্ণের মানব রূপের মৃত্যু হয়। আদেশানুসারে, পাণ্ডবরা তাঁর দেহ দাহ করেন। আগুনে পুরো শরীর ভষ্ম হলেও তাঁর হৃদয় অবিচল থেকে যায়। আকাশবাণী অনুসারে, পাণ্ডবদের জানানো হয় এই হৃদয়, ব্রহ্মর হৃদয়। তাই এটি আগুনে নষ্ট হবে না। এটি গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে বলা হয়। জলে হৃদয় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কাঠে পরিণত হয়। এই কাঠ জগন্নাথের ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যুমের হাতে পরে। শ্রীকৃষ্ণের স্বপ্নাদেশে রাজা ইন্দ্রদ্যুম সেই কাঠ পুরীর মন্দিরে স্থাপন করেন। সেই থেকে আজও পুরীর মন্দিরের জগন্নাথ দেবের মূর্তির মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের হৃদয় রয়েছে। যাকে স্থানীয়রা ব্রহ্ম পদার্থ রূপে জানেন। 
 



জগন্নাথ মূর্তি-
প্রতি ১২ বছর অন্তর নিম গাছের কাঠ দিয়ে এই মন্দিরের জগন্নাথ মূর্তি তৈরি করে তাতে ব্রহ্ম পদার্থ স্থাপন করা হয়। কিন্তু তবুও এই ব্রহ্ম পদার্থ আজ পর্যন্ত না কেউ চোখে দেখেছে, না কেউ স্পর্ষ করেছে। যখন নতুন মূর্তিতে ব্রহ্ম পদার্থ স্থাপন করা হয়, তখন সেই অঞ্চলের সমস্ত ইলেকট্রিক কানেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। মন্দির চত্ত্বর সিআরপিএফ দিয়ে ঘিরে তবেই এর স্থানান্তর করা হয়। মন্দিরে উপস্থিত পান্ডাদের চোখে পট্টি আটকে হাতে দস্তানা পরে তবে এই কার্য সম্পন্ন করা হয়। তবে যারা স্থানান্তরের সময় এই ব্রহ্ম পদার্থ অনুভব করেছেন তাঁরা জানিয়েছেন, এটি একটি খরগোসের মতো নরম তুলতুলে বস্তু, যার প্রাণ আছে বলে অনুভব করা যায়। শোনা যায়, যদি ভুলেও কারও নজর এই ব্রহ্ম পদার্থে পড়ে তৎক্ষণাৎ তাঁর মৃত্যু অনিবার্য।