সংক্ষিপ্ত

আপনি খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বা প্রচুর হতাশা রয়েছে আপনার মধ্যে- যদি এজাতীয় সমস্যা হয় তাহলে তা সমাধানের জন্য প্রথমেই নিজের বাড়ি বাস্তুমতে সাজিয়ে নিন। 

আপনি খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বা প্রচুর হতাশা রয়েছে আপনার মধ্যে- যদি এজাতীয় সমস্যা হয় তাহলে তা সমাধানের জন্য প্রথমেই নিজের বাড়ি বাস্তুমতে সাজিয়ে নিন। মনে রাখবেন বাড়ি যখন তৈরি হয় তখনই বাস্তু মেনে তা নির্মাণ করা উচিৎ। কিন্তু সবসময় তা হয়ে ওঠে না। তাই বাস্তু মনে বাড়ির ভিরত যদি গুছিয়ে নেন তাহলে সেই সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়। বাড়ির অন্দর সজ্জা এমন হতে হবে যা সর্বদাই আপনাকে ও আপনার পরিবারের সদস্যদের পজেটিভ এনার্জি দেবে। তারই জন্য রইল চারটি উপায়- 

ঘরের কোন-
ঘরের কোন যদি পুরোপুরি ধারানো অর্থার ত্রিভূজের মত হয় তাহলে প্রথমেই কোনগুলিকে ঢেকে ফেলার ব্যবস্থা করুন। কোনাগুলি নানাভাবে ডেকরেট করুন। আর তাতে ফুলদানি বা বইয়ের ব়্যাক করে দিন। ফেংসুই মতে ঘরের কোনাগুলি যদি ধারানো অর্থাৎ ত্রিভূজের মত দেখতে হয় তাহলে শাচি নামে একটি শক্তি ঘরে ঢুকে পড়ে আর তা পরিবারের সদস্যদের জন্য অশুভ প্রভাব বয়ে আনে। 

কোনে কিছু গাছ রাখুন- 
ঘরের কোনও তুলসী, বাঁশ বা জুঁই গাছ রাখুন। চাইলে অ্যালোভেরার চারাও রাখতে পারেন। তাতে এই বাড়িতে বসবাসকারীদের মধ্যে  পজেটিভ এনার্জি বেড়ে যায়। এটি ইন্দ্রিয়কে খুশি করে। পাশাপাশি বিষাক্ত বাতাস থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। ঘরের প্রধান দরজার কাছে অবশ্যই একটি তুলসী গাছ রাখতে পারেন। 

ধূপ থেরাপি-
বাড়ি থেকে অশুভশক্তি দূর করতে ধূপ অতুলনীয়। প্রত্যেক ঘরেই সকাল সন্ধ্যা ধূপ বা ধূনো দিতে পারেন। তাতে বাড়ির পরিবেশ পরিবর্তন হতে বাধ্য। এটি মাসসিক চাপ দূর করে। কর্পূরও জ্বালাতে পারেন। পাশাপাশই ঘরে ইউক্যাপটাস তেল দিতে পারেন। 

শব্দ-
বাড়িতে পজেটিভ এনার্জি ডেকে আনতে সবথেকে উপকারী হল শব্দ। বাড়িতে শঙ্খধ্বনী দিতেই পারেন। চাইলে ছোট্ট একটি ঘণ্টা রেখে সেটাই সকাল সন্ধ্যে বাজাতে পারেন। সময় না পেলে উইন্ডচাইম, তিব্বতি বাটি রাখতে পারেন। হাওয়ায় ঘণ্টার আওয়াজ হবে। তাতে বাড়ি থেকে দূর হবে অশুভ শক্তি।