সংক্ষিপ্ত
রুদ্রাক্ষ কেবল তখনই তার শুভ ফল দেয় যখন এটি সঠিক নিয়ম মেনে পরিধান করা উচিত এবং রুদ্রাক্ষ পরিধান করার পরে, ব্যক্তির প্রয়োজনীয় নিয়মগুলি অনুসরণ করা উচিত। অন্যথায় রুদ্রাক্ষ অপবিত্র হয়ে লাভের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
হিন্দু ধর্মে রুদ্রাক্ষকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে এই রুদ্রাক্ষের উৎপত্তি ভগবান ভোলেনাথের অশ্রু থেকে। রুদ্রাক্ষ পরার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ধর্ম, জ্যোতিষ ও বিজ্ঞানেও রুদ্রাক্ষ পরার উপকারিতা বলা হয়েছে। এটি পরা অনেক ঝামেলা থেকেও রক্ষা করে, চিন্তাভাবনাকে ইতিবাচক রাখে। কিন্তু রুদ্রাক্ষ কেবল তখনই তার শুভ ফল দেয় যখন এটি সঠিক নিয়ম মেনে পরিধান করা উচিত এবং রুদ্রাক্ষ পরিধান করার পরে, ব্যক্তির প্রয়োজনীয় নিয়মগুলি অনুসরণ করা উচিত। অন্যথায় রুদ্রাক্ষ অপবিত্র হয়ে লাভের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই মানুষদের রুদ্রাক্ষ পরা উচিত নয়
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, সন্তান জন্মের পর মা ও শিশু কিছু দিন আঁতুর ঘরে থাকে। এমন সময়ে ভুল করেও সেই মহিলার রুদ্রাক্ষ পরা উচিত নয়। এছাড়া যাঁরা রুদ্রাক্ষ ধারণ করেছেন, তাঁদেরও সদ্য মা হয়েছে বা কোনও আঁতুর ঘরে যাওয়া উচিত নয়। যদি রুদ্রাক্ষ পরিধান করা হয়, তবে সূতক অপসারণের পরেই নবজাতক বা তার মায়ের কাছে যান বা মা ও শিশুর ঘরে প্রবেশের আগে রুদ্রাক্ষ খুলে ফেলুন।
এই সময় ভুল করেও রুদ্রাক্ষ পরবেন না
রুদ্রাক্ষ পরার সময় ভুল করেও ধূমপান করবেন না এবং আমিষ খাবার খাবেন না। এর ফলে রুদ্রাক্ষও অশুদ্ধ হয়ে যাবে এবং এতে উপকারের পরিবর্তে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
ঘুমানোর সময়ও রুদ্রাক্ষ পরা উচিত নয়। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে রুদ্রাক্ষ খুলে বালিশের নিচে রাখা ভালো। এর ফলে মন শান্ত থাকে, খারাপ স্বপ্ন দেখা যায় না এবং ভালো ঘুম আসে। এমনকি শবযাত্রায়ও রুদ্রাক্ষ পরা উচিত নয়। এটি করলে রুদ্রাক্ষ অশুদ্ধ হয়ে যায় এবং এটি আপনার জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।