সংক্ষিপ্ত
- কালসর্প দোষকে ভয়াবহ দশা বলেই মনে করা হয়
- এই যোগ থাকলে সারা জীবন দুর্ভাগ্যের সঙ্গে কাটে
- কালসর্প যোগের পিছনে রয়েছে রাহু ও কেতুর ভূমিকা
- এই মন্দিরে গেলেই মুক্তি পেতে পারেন এই দোষ থেকে
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কালসর্প দোষ বা কালসর্প যোগ হল জন্মকুণ্ডলীর এমন একটি অবস্থা, যেখানে জ্যোতিষবিদ্যার সাত গ্রহ রাহু ও কেতুর ছায়ায় ঢাকা পড়ে যায়। এই সাত গ্রহই যদি সমান্তরাল অবস্থায় এসে তাদের ওপর রাহু ও কেতুর ছায়া পড়লেই তা পূর্ণ কালসর্প দোষ। আর যদি যে কোনও একটি গ্রহ এই ছায়ার বাইরে থেকে যায়, তাহলে তাকে বলে আংশিক কালসর্প দোষ। কালসর্প যোগ বা কালসর্প দোষকে ভয়াবহ দশা বলেই মনে করা হয়। এই যোগ থাকলে সারা জীবন দুর্ভাগ্যের সঙ্গে কাটে বলেই মনে করেন জ্যোতিষীরা।
কালসর্প যোগ যদি কোনও জাতক বা জাতিকার থাকে তাহলে অবশ্যই তার প্রতিকার নেওয়া প্রয়োজন। কোনও ব্যক্তির কালসর্প যোগ থাকলে তাকে প্রতিপদে বাধার সম্মুখীন হবে। তাদের সমস্ত কাজেই বাধার সৃষ্টি হয়। এই দোষ কাটাতে কত যজ্ঞ বা কত প্রতিকার করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা। তবে জানলে অবাক হবেন, এমন এক মন্দির আছে, সেই মন্দিরে গেলেই মুক্তি পেতে পারেন এই দোষ থেকে। জ্য়োতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কালসর্প যোগের পিছনে রয়েছে রাহু ও কেতুর ভূমিকা। যখন রাহু ও কেতুর মধ্যে সব গ্রহ থাকে এবং রাহু আর কেতু সর্বদা বিপরীত দিকে থাকে তবেই কালসর্প দোষ বা যোগ দেখা দেয়।
চেন্নাইয়ের কাম্বোকোনাম থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে এই মন্দির অবস্থিত। মহাদেবের স্বয়ম্ভু মূর্তির পুজো হয় এই মন্দিরে। চেন্নাইয়ের থিরুপ্পামপুরমে অবস্থিত এই মন্দির কালসর্প দোষ থেকে মুক্তি দিতে পারে। জ্যোতিষ শাস্ত্রেও উল্লেখ রয়েছে, শিব পুজো সব নিয়ম মেনে, নিষ্ঠা সহকারে করলে কালসর্প দোষের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণশিবের অভিশাপে নাগকূল তাদের সব ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাদের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য, সমগ্র নাগকূল মর্তের এই মন্দিরে থেকে শিবের পুজো করে। মনে করা হয় এই মন্দির চোলান রাজবংশের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই দেশের একমাত্র এই মন্দিরেই পুজো দিলে কাটিয়ে ওঠা যায় কালসর্প দোষ।