কন্যাসন্তানের নামের আগে এই অক্ষর থাকলে তারা খুব সৌভাগ্যবতী, বলছে জ্যোতিষ

নামের আদ্যক্ষর (First Lestter of Name) দিয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা হয়ত অনেকেই করেন না। অনেকেই নিজের সন্তানের নাম বাবা মায়ের (Parents) নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখেন। কারোর আবার পছন্দসই কোনও নাম মিলিয়ে সন্তানের (Child) নামকরণ করেন। কিন্তু জানেন কি এই নামের আদ্যক্ষরের গভীর প্রভাব (Impact) থাকে জীবনে।

কন্যা সন্তানের আধুনির নাম রাখার চল বর্তমানে দেখা যায়। মেয়েদের দেবীর রূপ মনে করা হয়। নবরাত্রি উৎসবে মেয়েদের পুজো করার রীতি রয়েছে। এখানে আজ আমরা কিছু সৌভাগ্যবান ‘নাম’ অক্ষর সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই অক্ষর দিয়ে যেসব মেয়ের নাম শুরু হয় তারা ভাগ্যবতী। 

"A" অক্ষর দিয়ে যে মেয়েদের নাম শুরু হয়, তারা খুব আত্মবিশ্বাসী হন, সেই সঙ্গে এরা খুব অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এবং বিভিন্ন কাজে সব সময় জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করেন। চরিত্র হিসাবে 'এ' অক্ষর দিয়ে শুরু নামের অধিকারিরা বেশিরভাগই স্বাধীনচেতা হন। 'এ' অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু তাদের জীবনে হলুদ রঙের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে এরা এগিয়ে যেতে চায়, কখনই পিছপা হয় না। এরা নেতা হিসেবে খুব জনপ্রিয় হতে পারবে। এদের অনুগত লোকেরা কখনোই এদের পিছনে শত্রুতা করে না।

"D" এই অক্ষর দিয়ে যাদের নাম শুরু হয় তারা খুব নির্ভীক এবং সমস্ত কাজ খুব দক্ষতার সাথে করে। তারা খুব শৈল্পিক। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য পাবেন। তিনি তার দায়িত্ব সম্পর্কে খুব সচেতন। 

"P" অক্ষর দিয়ে যাদের নামের শুরু, তারা তাদের দক্ষতা এবং পরিশ্রম দিয়ে তাদের বাবা ও মায়ের নাম উজ্জ্বল করে। এই ধরনের মেয়েদের বিশেষ প্রতিভা আছে। এই প্রতিভাকে যদি সময়মতো স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তবে এটি অনেক এগিয়ে যায়। অর্থের দিক থেকেও তারা অনেক ভাগ্যবান। লড়াই করে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর মানসিকতা এদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। ইচ্ছাশক্তি প্রবল হওয়ায় শত সমস্যার মধ্যেও এরা সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যান।

"L" অক্ষর দিয়ে যে মেয়েদের নাম শুরু হয় তারা প্রতিটি কাজে দক্ষ হয়। পরিবারের পাশাপাশি তিনি বাইরের বড় দায়িত্ব পালনেও পারদর্শী। তিনি তার দক্ষতার জন্য সর্বত্র সম্মান পান। এঁরা অর্থ সঞ্চয় করার ক্ষেত্রেও সাফল্য অর্জন করেন। ধার্মিক এবং অন্যদের জন্য যত্নশীল হন। তারা দাতব্য কাজ ইত্যাদি করতেও পছন্দ করে।

"R" অক্ষর দিয়ে শুরু যেসব মেয়েদের নাম তাদের মধ্যে নানা গুণের প্রতিভা লক্ষ্য করা যায়। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে এরা মানিয়ে নিয়ে নিজের কাজে সাফল্য লাভ করে থাকে। তবে অনেক সময় জীবনে আর্থিক বিপর্যয় দেখা দেয়। তবে এই জাতক জাতিকাদের উপর সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ সবসময় থাকে। এদের বেশিরভাগই প্রায় জীবনে সাফল্য লাভ করে।