সংক্ষিপ্ত
অনেকেই ডোরবেলে পাখির আওয়াজ পছন্দ করেন। অনেকেই আবার ঘণ্টার ধ্বনী। কেউ আবার ডোরবেলে মন্ত্র বা আরতীর শব্দ বা গান পছন্দ করেন। অনেকেই শুধুমাত্র শব্দ পছন্দ করেন।
আধুনিক বাড়ির অন্দরসজ্জার গুরুত্বপূর্ণ হল ডোর বেল। তবে এই ডোর বেলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক কিছু। একদিকে ডোর বেশের শব্দ যেমন পরিবারের সদস্যদের মনোভার বা রুচির পরিচয় পাওয়া যায় অন্যদিকে ডোর বেল কিন্তু পরিবারের জন্য শুভশক্তি বা অশুভ প্রভাবও ঢেকে আনতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী উপযুক্ত ডোরবেল ব্যবহার না করা হলে সেই বাড়ির বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠতে পারে। আসুন আজ জেনেনি কী ধরনের ডোরবেল আমরা ব্যবহার করব যেগুলি বাড়ির সদস্যদের মঙ্গলময় করে তুলতে পারে।
অনেকেই ডোরবেলে পাখির আওয়াজ পছন্দ করেন। অনেকেই আবার ঘণ্টার ধ্বনী। কেউ আবার ডোরবেলে মন্ত্র বা আরতীর শব্দ বা গান পছন্দ করেন। অনেকেই শুধুমাত্র শব্দ পছন্দ করেন। বাস্তুমতে ডোরবেল বাড়ির প্রধান দরজার বাঁ দিকে লাগানো উচিৎ। বাঁ হাত গিয়ে যাতে বেল বাজানো যায় তাই করা উচিৎ।
বাস্তুমতে ডোরবেলে যদি ঈশ্বরের আরতি মন্ত্রর ডোরবেল লাগান তাহলে বাড়িতে শান্তি বিরাজ করে। বাস্তুমতে বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব দেওয়ালে মন্ত্রসহ ডোর বেল লাগান শুভ। উত্তর পশ্চিমে যদি দরজা থাকে তাহলে অবশ্যই পাখির ডাকের ডোরবেল লাগাতে পারেন। তাহলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির আগমণ ঘটে। আর বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিমে দরজা হলে ডোর বেল না লাগানোই শুভ। প্রয়োজনে দরজায় একটি হাতল বা লোহার কড়া রাখতে পারেন। সেটির আওয়াজ হলেই বুঝতে পারবেন অতিথি এসেছে।
ডোরবেল লাগানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সেটি যেন নেম প্লেটের ওপর রাখা হয়। তাতে ঘরে সুখ আর সমৃদ্ধি বাড়ে। প্রধান দরজা যেমন পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি তেমনই ডোরবেলও সর্বদা পরিচ্ছিন রাখবেন।
বাস্তু অনুসারে ডোরবেল মাটি থেকে সর্বদা ২৫ ফুট উপরে রাখতে হবেয ঠাকুর ঘরের কাছে কখনই ডোরবেলের যন্ত্রপাতি রাখবেন না। তাতে গৃহদেবতা অসন্তুষ্ট হতে পারে। তাঁর একাকীত্বে ব্যাঘাত ঘটতে পারে ডোরবেলের আওয়াজে।