সংক্ষিপ্ত

  • প্রতিটি ভগবানের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট স্থান
  • ঠাকুরঘরে নির্বাচন করতে হবে সেই স্থান
  • তবেই জীবনে মিলবে সুখশান্তি
  • আসবে সমৃদ্ধি

সুন্দর ভাবে সাজানো ঠাকুরঘর, খুব মন দিয়ে পুজো করেও মিলছে না শান্তি। এরকম হামেশাই হয়ে থাকে। বলা হয় যে কোনও ঠাকুরঘরে ভগবানের মূর্তি স্থাপনের সময় নির্দিষ্ট স্থান মেনেই বসানো উচিত। তবে প্রকৃত অর্থে আরাধনা করা হয়। কীভাবে জানবেন কোন ভগবানকে কোন দিকে স্থাপন করতে হবে। এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিশ। 

হনুমানজীকে বসানো উচিত ঘরের পূর্ব দিকে। সেই সঙ্গে প্রসাদে দিতে হবে তুলসির পাতা। নারায়ণের মূর্তিকেও পূর্ব দিকে স্থাপন করা প্রয়োজন। তবে সঠিক ভাবে পুজো করা যায়। 

শক্তির আরাধনায় অর্থাৎ কালী, দুর্গা, লক্ষ্মী, শীতলা বা সরস্বতীর দেবী মূর্তি বসানো উচিত উত্তর দিকে মুখ করে। মূর্তিকে বসাতে হবে উত্তরে দেওয়ালে, পুজো করতে বসতে হবে উত্তর দিকে মুখ করে। 

দেবাদিদেব মহাদেবকে স্থাপন করতে হবে উত্তর অথবা ঈশান কোণে। শ্রী নারায়ণ দেব ও সূর্যদেবের পুজো করতে চাইলে, তাঁদের মূর্তি স্থাপন করতে হবে পূর্ব দিকে। 

বরুণদেবকে রাখা উচিত সর্বদা দক্ষিণ দিকে। ব্রহ্মদেবকে সর্বদাই গৃহের মধ্যস্থলে রেখে ভক্তকে ঈশানমুখী হয়ে পুজো করতে বসতে হবে। মহাদেবের শিবলিঙ্গে সর্বদা একটি অখন্ড বেলপাতা রাখতে হবে। 

বলা হয় হিন্দুধর্ম মতে ভগবান সর্বদা মানুষের সঙ্গেই বসবাস করেন। কখনোই ঠাকুর ঘরে ঝুল জমতে দেবেন না,কারণ এটা অশুভ। ঠাকুর ঘরে একই দেবতার ছবি কিংবা মূর্তি একাধিক রাখা উচিত নয়,কারন তাতে পুজা করলেও সেই পূজার ফল কিছুই পাওয়া যায় না। তাই যেকোনো দেবতার ছবি একটা রাখাই শুভ।

অনেকে অনেক বড় করে ঠাকুরঘর বানিয়েও বাস্তবিক জীবনে শান্তি পান না। অর্থ থাকলেও শরীর অস্থিরতায় ভরে থাকে। আবার অনেকেই বিশাল কিছু না করেও স্বল্প সাজে মন্দির বানিয়েও সুখ সমৃদ্ধি পরিবারে নিয়ে আসেন। তবে বাস্তুর নিয়ম মেনে যদি ঠাকুর ঘর বানানো যায়, সবক্ষেত্রেই শান্তি আসবে। সাফল্য আসবে জীবনে। তার সঙ্গে প্রয়োজন প্রতিটি ভগবানের মূর্তির সঠিক অবস্থান মেনে প্রতিষ্ঠা।