সংক্ষিপ্ত

  • সমাজের অধিকাংশের দ্বারা অনুসরণ না করা ধর্মের কথা বলে ব্যবহৃত হয়
  • প্রথাগত ধর্মের মধ্যে কুসংস্কার রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে
  • বিশেষ করে এই ধারণাটি যে নির্দিষ্ট বা আপাতদৃষ্টিতে সম্পর্কহীন
  • বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছে এই নিয়মগুলি কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে

বিশ্বের সর্বত্রই কম বেশি কুসংস্কার মেনে চলা হয়। তবে এদেশে অবশ্য তা একটু বেশি মাত্রাতেই মানা হয়। এর মধ্যে এমন কিছু কাজ কাজ রয়েছে যা পরবর্তীকালে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের কাছে কুসংস্কারে পরিণত হয়েছে। কুসংস্কার শব্দটি প্রায়ই একটি নির্দিষ্ট সমাজের অধিকাংশের দ্বারা অনুসরণ না করা ধর্মের কথা বলে ব্যবহৃত হয়। যদিও প্রথাগত ধর্মের মধ্যে কুসংস্কার রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এটি সাধারণত ভাগ্য, ভবিষ্যদ্বাণী এবং নির্দিষ্ট আধ্যাত্মিক জগতের বিশেষ করে বিশ্বাস এবং অভ্যাসগুলির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, বিশেষ করে এই ধারণাটি যে নির্দিষ্ট বা আপাতদৃষ্টিতে সম্পর্কহীন। যা পূর্বের ঘটনাগুলি দ্বারা ভবিষ্যতের ঘটনাগুলির জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করা যেতে পারে।  জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি। 

আরও পড়ুন- ৯৭২ বছর পর সৃষ্টি হতে চলেছে বিরল যোগ, ৪টি গ্রহ থাকবে এক রাশিতে

দোকান এবং গাড়িতে লেবু-লঙ্কা ঝোলানো। পাড়ার অনেক দোকানে বা রাস্তায় এই ধরনের জিনিস ঝুলিয়ে বা পরে থাকতে দেখা যায়। এই নিয়ম বা কুসংস্কার তা-যাই হোক অনেকই মেনে চলেন। ঋতুস্রাব চলছে এমন মহিলাদের আমাদের দেশের বহু জায়গায় অপবিত্র বলে মনে করা হয়। এমনকি বাড়ির বাইরে একটি অন্ধকার ঘরে সেই কয়েকদিন থাকতে বাধ্য করা হয়। গায়ে টিকটিকি পড়া মানে অশুভ কিছুর ইঙ্গিত। এমনটা মনে করেন অনেকেই। ঠিক সেই কারনেই ঘরের থেকে টিকটিকি তাড়ানোর যাবতীয় পন্থা নিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন- ৩১ মে পর্যন্ত রয়েছে ৬ রাশির উন্নতির যোগ, জেনে নিন কোন রাশি রয়েছে এই তালিকায়

কালো বিড়াল রাস্তা পার করা মানেই বিপদের আশঙ্কা। এখনও বহু মানুষ এই নিয়ম মেনে চলেন। বিড়াল রাস্তা পার হচ্ছে দেখলেই দাঁড়িয়ে পড়েন। গর্ভবতী কোনও মহিলাদের গ্রহণের সময় ঘরে থাকার কথা বলা হয়। নাহলে বাচ্চার উপর রাহুর খারাপ প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়। যাত্রার সময় হেঁচে ফেলা মানে যাত্রা অশুভ। সেই মত অনেকেই বাড়ির বাইরে যাওয়ার আগে হাঁচি পড়লে একটু দাঁড়িয়ে যাওয়া। কুনজর থেকে বাচ্চাদের রক্ষার জন্য কাজল পরানোর নিয়ম। বাড়ির বাইরে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়ার সময়ে এই নিয়ম অনেকেই পালন করেন। শুতে যাওয়ার সময় বালিশের নীচে লোহার বস্তু নিয়ে শুতে যাওয়া। মনে করা হয় এই নিয়ম মেনে চললে, রাতে দুঃস্বপ্ন আসে না।