সংক্ষিপ্ত
বাসরঘর আর ফুলশয্যার খাট সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়াই এই দেশের রীতি। আর এই সাজানোর কাজে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয় গোলাপ আর রজনীগন্ধা।
প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় সমাজে বিয়ে (Wedding) একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বন্ধন। এই বন্ধন শুধুমাত্র দুটি মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দুটি পরিবারেও বন্ধন। মনের পাশাপাশি বিয়ে শারীরিক বন্ধনও বটে। তাই প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় সামাজে ফুলসজ্জা (fulsojja) বা বাসররাতের (Basor) গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই বিশেষ রাতটিকে আরও বিশেষ করে তুলতে নবদম্পতির পরিবারের সদস্যরাও কুসুর করে না। কারণ এই রাত থেকেই নবদম্পতির নতুন পথচলা শুরু হয়। সেইক্ষেত্র রাতটিকে আরও সুন্দর আর মধুর করে তুলতে খাটের ওপরই বেশি নজর দেওয়া হয়।
বাসরঘর আর ফুলশয্যার খাট সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়াই এই দেশের রীতি। আর এই সাজানোর কাজে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয় গোলাপ আর রজনীগন্ধা। অন্যান্য অনেক ফুল থাকলেও বেশি ব্যবহার করা হয় গোলাপ আর রজনীগন্ধা। এর পিছনেও রয়েছে অনেকগুলি কারণ।
১. বিয়ের পর প্রথম রাত হিসেবে ধরে নেওয়া হয় ফুলশয্যার রাতকে। কারণ তার আগের রাতই কালরাত্রি। গোপাল আর রজনীগন্ধা - এই দুটি ফুল ব্যবহার করার প্রথম কারণই হল এদুটির সুগন্ধ। রজনীগন্ধার সুবাস মনতে তাজা করতে সাহায্য করে। আর গোলাপের গন্ধ মনের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি করে। মনে রাখতে হবে এই দুটি ফুলই কিন্তু ব্যবহার করা হয় পারমিউম তৈরির জন্য।
২. গোলাপ হল ভালোবাসার প্রতীক। লাল গোলাপ হল প্রেমের প্রতীক। তাই ফুলশয্যার খাটে গোলাপ ব্যবহার করা হয়। নবদম্পতির মতে প্রেম আর ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে এর জুড়ি এখনও পাওয়া যায়নি। তাই দীর্ঘ দিন ধরেই গোলাপের ব্যবহার করা হয়। মনে করা হয় গোলাপ লাল রঙের মত নবদম্পতির জীবনেও ভরে উঠবে ভালোবাসায়।
৩. ভারতের প্রাচীন রীতি অনুযায়ী যে কোনও শুভকাজে ব্যবহার করা হয় ফুল। ফুলশয্যার রাত যাতে বিশেষ দুই পরিবারের ও নবদম্পতির মধ্যে শুভবার্তা বয়ে আনে তার জন্য বাসর ঘর ফুল দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হয়। মনে করা হয় দুজনের সম্পর্ক ফুলের মতই পবিত্র থাকবে সারা জীবন। যা আগামী দিয়ে দুটি পরিবারকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেবে।
৪. আগেকার দিনের নিয়ম অনুযায়ী ফুলশয্যার রাতেই প্রথম নবদম্পতি একে অপরকে প্রথম দেখত। তার আগে তারা দুজনেই দুজনের কাছে অপরিচিত থাকত। এখন আর তা না হলেও আগের রীতিনীত সবই রয়ে গেছে। যাই হোক সুগন্ধী ফুলের ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই হল নবদম্পতির মনে উন্মাদনা তৈরি করা। দুজনকের শারীরিক কামনা তৈরি করা।
আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ১০টি সহজ উপায়, হতাশ না হয়ে এগুলি মেনে চললে উপকার পাবেন
লক্ষ্ণী-গণেশের মূর্তির সামনে মাটির প্রদীপ রাখলে কেটবে আর্থিক সংকট, ধনী হওয়ার পাঁচটি উপায় রইল
আসুস নিয়ে এল টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ, দাম থেকে ফিচার- সবই রয়েছে এখানে