সংক্ষিপ্ত
শাস্ত্রে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন আরও দুই দেবতার উল্লেখ আছে। বৈশাখী পূর্ণিমায় ভগবান বিষ্ণুর আরাধনার উল্লেখ আছে। শাস্ত্র মতে, ভগবান বুদ্ধ হলে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার। তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ভগবান বিষ্ণুর পুজোর রীতি আছে।
বৈশাখ মাসের শেষ দিন হল বৈশাখ পূর্ণিমা। শাস্ত্র মতে, এই দিন জন্ম হয়েছিল গৌতম বুদ্ধের। সেকারণে দিনটি বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে খ্যাত। ইতিহাসে পাতা ঘাঁটলে জানা যায়, বৈশাখ মাসের পূর্ণিমার দিন রাজা শুদ্ধধন ও রানি মায়াদেবীর সন্তান হিসেবে জন্ম হয় ভগবান বুদ্ধের। নেপালের লুম্বিনি নাকম স্থানে ৫৬৩ খ্রিস্টাব্দে জন্ম হয়েছিল গৌতম বুদ্ধের। ২৯ বছর বয়সে সত্য অনুসন্ধানের জন্য তিনি পরিবার ত্যাগ করেন। তারপর তিনি বোধি গাছের নীচে বসে ৪৯ দিন কঠোর তপস্যা করেন। সে কারণে তাঁর আরেক নাম বোধিসত্ত্ব। তিনি ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক শিক্ষক। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় অহিংসা ও করুণার বার্তা প্রচার করে গিয়েছেন।
শাস্ত্রে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন আরও দুই দেবতার উল্লেখ আছে। বৈশাখী পূর্ণিমায় ভগবান বিষ্ণুর আরাধনার উল্লেখ আছে। শাস্ত্র মতে, ভগবান বুদ্ধ হলে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার। তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ভগবান বিষ্ণুর পুজোর রীতি আছে। ব্রক্ষ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এই তিন শক্তি নিয়ে তৈরি বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড। পৃথিবীরেতে নানান অবতারে বারে বারে জন্ম নিয়েছেন বিষ্ণু। শাস্ত্র মতে, গৌতম বুদ্ধও ভগবান বিষ্ণুরই নবম অবতার। জীবনের সকল দুঃখ দূর করতে আজ নিষ্ঠার সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন। সকল জটিলতা থেকে মুক্তি পাবেন।
তেমনই আজ চন্দ্র দেবের পুজো করতে পারেন। শাস্ত্র মতে, বুদ্ধদেবের পুজো করলে কেটে যাবে সকল দুঃখ কষ্ট। বৈশাখী পূর্ণিমায় পালিত হয় এই উৎসব। শাস্ত্রে বৈশাখী পূর্ণিমার গুরুত্ব বিস্তত। এই দিন চন্দ্রদেবের পুজো করতে পারেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এদিন চন্দ্রদেবের পুজো করলে মনের সকল ইচ্ছে পূরণ হয়। এদিন চন্দ্র দেবকে অর্ঘ্য দিন, চন্দ্রের প্রতীকী বস্তু মন্দিরে দান করুন। উপকার পাবেন। পূরাণ অনুসারে চন্দ্র অত্রির পুত্র ও সপ্তবিংশতী নক্ষত্রের স্বামী। তিনি বুধের পিতা ও দক্ষের জামাতা। শাস্ত্র মতে, এদিন তাঁর পুজো করলে সকল দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।
আজ ১৬ মে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ পূর্ণিমার উৎসব। যদিও কাল থেকে শুরু হয়েছিল পুজোর তিথি। এই বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথিতে নিষ্ঠার সঙ্গে চন্দ্র দেব ও ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন। এতে জীবনের সকল অশান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। কেটে যাবে জীবনের সকল দুর্ভোগ। সাফল্য লাভ করবেন সকল ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন- চন্দ্রগ্রহণ শেষের সঙ্গে সঙ্গে রাশি অনুযায়ী করুন দান, দূর হবে গ্রহণের সকল কু-প্রভাব
আরও পড়ুন- বুদ্ধপূর্ণিমায় শুভেচ্ছা জানান সকলকে, পাঠাতে পারেন গৌতম বুদ্ধের বাণী, দেখে নিন কী লিখবেন
আরও পড়ুন- বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ, জেনে নিন এই গ্রহণ সম্পর্কিত পৌরানিক কিছু কাহিনি