সংক্ষিপ্ত

হরিয়ানার (Haryana) সিরসার (Sirsa) এক সংস্থা তৈরি করল অল্প দামে ভিন্টেজ লুক-এর (Vintage Look) এক নয়া বৈদ্যুতিক গাড়ি (Electric Car)। মারুতি অল্টো (Maruti Suzuki Alto) এবং রয়্যাল এনফিল্ড বুলেটের (Royal Enfield Bullet) যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি এই গাড়ির বিশেষত্বগুলি কী কী?
 

কার্বন নিস্ক্রমণ কমানোর (Reduce Carbon Emissions) লক্ষ্যে সারা বিশ্বেই এখন বৈদ্যুতিক যানবাহন (Electric Vehicles) ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। ভারতীয় বাজারও তার ব্যতিক্রম নয়, এখানেও প্রতিদিনই বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরি এবং চালানোর সংখ্য়া বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে গ্রাহক ও নির্মাতা - দুই পক্ষকেই বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ফলে, বৈদ্যুতিন গাড়ি বেছে নেওয়ার বিকল্প যেমন বাড়ছে, আবার এমন বৈদ্যুতিক কিট-ও বাজারে মিলছে, যার সাহায্যে সহজেই জ্বালানি চালিত গাড়িকে বৈদ্যুতিন গাড়িতে পরিণত করা যায়। বৈদ্যুতিন গাড়ির এই ভিড়ে, আলাদা করে নজর কাড়ছে এই ভিনটেজ লুকিং ইলেকট্রিক কার-টি। যার, বিশেষত্ব জানলে অবাক হতে হবে। 

মারুতি সুজুকি অল্টো এবং একটি রয়্যাল এনফিল্ড বুলেটের মিশেল 

এই বৈদ্যুতিক গাড়িটি তৈরি করেছে, গ্রিন মাস্টার (Green Master) নামে হরিয়ানার সিরসা (Sirsa, Haryana) শহরের একটি সংস্থা। মজার বিষয় হল গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে, একটি মারুতি সুজুকি অল্টো গাড়ি (Maruti Suzuki Alto) এবং একটি রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট (Royal Enfield Bullet) মোটরবাইকের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাড়িটির সব যন্ত্রাংশ সহজে পাওয়া যায় না বলেই, এইভাবে গাড়ি ও বাইকের যন্ত্রাংশ মিশিয়ে এই বৈদ্যুতিন গাড়ি তৈরি করা হয়েছে। 

নজর কাড়তে বাধ্য

গাড়ির সামনে ও পেছনে যে হেডলাইট ব্যবহার করা হয়েছে, তা রয়্যাল এনফিল্ড বুলেটের হেডলাইট। এছাড়া গাড়ির চাকাও নেওয়া হয়েছে বুলেট বাইক থেকেই। চাবি এবং পাইলট লাইটও এই বাইক থেকেই নেওয়া হয়েছে। ১৯-ইঞ্চির বিশাল চাকা এবং হুইল আর্চগুলি গাড়িটিকে সম্পূর্ণ ভিন্টেজ লুক দিয়েছে, অর্থাৎ পুরোনো দিনের গাড়ির মতো দেখতে করে। গাড়িটির দেখতে আরও আকর্ষণীয় করতে এবং এর ভিন্টেজ লুকের সঙ্গে মানানসই করে, এর সামনের অংশে একটি জাল দেওয়া গ্রিল বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলে, সকলের নজর পড়তে বাধ্য। 

একবার চার্জে ১০০ কিলোমিটার 

গ্রিন মাস্টার সংস্থা এই ইলেকট্রিক গাড়িটিকে শুধু দেখতেই সুন্দর করেনি, গাড়িটি যাতে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে আসে, সেই দিকেও সমানভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। গাড়ির পিছনে রয়েছে একটি লাগেজ রাখার ট্রাঙ্ক। এই ট্রাঙ্কে ৭০ লিটার পর্যন্ত মাল রাখার জায়গা দেওয়া হয়েছে। গাড়িটি চলে ১২০০ ওয়াটের বৈদ্যুতিক মোটরে, যা সর্বোচ্চ ১.৫ হর্সপাওয়ারের শক্তি এবং ২.২ এনএম এর সর্বোচ্চ টর্ক তৈরি করতে পারে। একবার ব্যাটারিতে সম্পূর্ণ চার্জ দিলে, গাড়িটি ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। এছাড়া এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে চারটি অ্যালয় হুইল। সঙ্গে স্টেপনি হিসাবে একটি অতিরিক্ত চাকাও দেওয়া হয়েছে।

দাম আড়াই লাখের কম

এবার আসা যাক গাড়িটির দামে। হরিয়ানার সিরসা এই গাড়ি তৈরি হলেও, গ্রাহকরা ভারতের যে কোনও জায়গা থেকেই এই বৈদ্যুতিন গাড়িটি কিনতে পারবেন। গাড়িটির মূল্য শুরু হচ্ছে মাত্র ২.৪৫ লক্ষ টাকা থেকে।