সংক্ষিপ্ত
- ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ
- বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া খুনে এই পরিস্থিতি
- পড়ুয়া খুনে প্রধান অভিযুক্ত অমিত সাহা গ্রেপ্তার
- প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
পড়ুয়াদের গায়ে আঁচড় লাগলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের ছাত্র-সমাজ। কোনও নেতৃত্ব ছাড়াই তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনও সময়ে প্রশাসনের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তথা বুয়েট-এর ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করার পর আরও একবার জ্বলে উঠল বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ পড়ুয়ারা তাঁদের কর্মসূচি শুরু করেন।
পড়ুয়ারা প্রথমে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাদদেশে জমা হন। সেখান থেকে মোমবাতি মিছিল করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ফের শহিদ মিনারের কাছে আসেন। তারপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকার রাস্তায় নামেন পড়ুয়ারা। হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষীরা বুয়েটের ছাত্র লিগ নেতা অমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মারার পর থেকে বাংলাদেশের পড়ুয়াদের সঙ্গে রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের কার্যকলাপ যে কোনও মূল্যে বন্ধ করা হবে। বাংলাদেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র রাজনীতির নামে যাঁরা পড়ুয়া সমাজের ওপর কালো মেঘের ছায়া ঢেকে দিচ্ছে, তাদের আটক করতে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা তল্লাশি অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেবেন বলে হাসিনা সতর্ক করেন।
রবিবার রাত আটটা নাগাদ আবরার ফাহাদকে কয়েক জন দুষ্কতী হস্টেলের রুম থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাঁকে মারা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁর মৃত্যু হচ্ছে। ফাহাদের অপরাধ, ইন্টারনেটে তিনি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। সন্দেহের তির আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লিগের দিকে। যদিও বাংলাদেশ ছাত্র লিগ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।