সংক্ষিপ্ত

  • ভারতে সিএএ আইনের প্রয়োজন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা
  •  এবার সিএএ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বাংলাদেশে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী
  • সিএএ নিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা
  • ফলে মোদী নিয়ে সতর্ক থাকছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী


 

ভারতে সিএএ আইনের প্রয়োজন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার সিএএ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷

নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি-র প্রয়োজন ছিল না, মনে করেন শেখ হাসিনা

আগামী ১৬ মার্চ ঢাকায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৭ মার্চ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তিনি৷ প্রথম থেকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু নিপীড়নের কথা বলেছে মোদী ব্রিগেড। পাকিস্তান বাদে সেখানে হিন্দু নিপীড়নে নাম এসেছে বাংলাদেশেরও। ফলে কূটনৈতিক সম্পর্কে এ নিয়ে প্রভাব পড়তে বাধ্য।  বাংলাদেশে যদিও সেদেশে হিন্দু নিপীড়নের কথা স্বীকার করেনি।

বাড়ছে বাংলাদেশে ফেরার প্রবণতা, এক বছরেই বৃদ্ধি প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ

উল্টে সিএএ আইন হওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে নিয়ে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি দুবাই থেকে গালফ নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারতে সিএএ-আইনের প্রয়োজন ছিল না ৷ যদিও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন,এটি ভারতের অভ্য়ন্তরীন বিষয়। তবে শেখ হাসিনা যাই বলুন না কেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে মোদীকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হল তা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন শেখ হাসিনা। 

বিশেষ করে অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলে বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন খোদ মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। ভারতে সিএএ আইন হওয়ার পর থেকেই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন বাংলাদেশে বহু পরিবার ফেরত যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে. বিভিন্ন সংবাদ মাধ্য়ম সেই খবর তুলে ধরেছে। যদিও এই কথা অস্বীকার করেছে বাংলাদেশের প্রশাসন। তারা জানিয়েছে , তাদের কাছে এরকম কোনও খবর নেই।  

সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা নিয়ে সচেতনতা, ট্যুইটারে মোদী তুলে ধরলেন আম আদমির কথা

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এসবের মাঝে মোদীর ঢাকা সফর অস্বস্তি বাড়াবে দুদেশের। একদিকে প্রশ্নবানে জর্জরিত হবেন শেখ হাসিনা। অন্য়দিকে হাসিনাকে হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে মোদী কী বললেন সেদিকে নজর রাখবেন  বিরোধীরা। কিছু না বললেই মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন তারা।