সংক্ষিপ্ত
- বিক্ষোভ আর প্রতিবাদে এখন মুখর ঢাকার রাজপথ
- বুয়েট-এর ছাত্র খুনের নৃশংস ঘটনায় পথে নেমে চলছে প্রতিবাদ
- এরই মধ্যে এই ঘটনায় প্রশ্নের সামনে পুলিশের ভূমিকা
- বিশেষ করে মূল অভিযুক্তর গ্রেফতারি নিয়ে কাঠগড়ায় পুলিশ
বাংলাদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র খুনের ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত অমিত সাহা। কিন্তু, সোমবার এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করলেও অমিত সাহা বহাল তবিয়েতেই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বাংলাদেশ পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেনি বলেই অভিযোগ। পুলিশের এই ভূমিকায় বারবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। বুধবার বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নিহত আবরার-এর জন্য ক্যাম্পাস চত্বরে মোমবাতি মিছিল করে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় নেমে হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র বিক্ষোভও দেখায়। সাধারণ মানুষও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়। মনে করা হচ্ছে ছাত্র ও নাগরিক সমাজের লাগাতার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে চাপে পড়ে পুলিশ মূল অভিযুক্ত অমিত সাহা-কে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ সবুজবাগ এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে অমিত সাহাকে ধরে পুলিশ।
কে এই আমিত সাহা? যার নাম বারবার আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় উঠে এসেছে। বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের যে রুমে আরবার ফারাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়, সেই ২০১১ নম্বর ঘরে থাকত আমিত। সে বুয়েটের ছাত্র লিগের আইন বিষারদ বিভাগের উপ-সম্পাদক। জানা গিয়েছে, আবরারকে ওই রুমে ডেকে নেওয়ার আগে আমিত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তার এক সহপাঠীর সঙ্গে চ্যাট করে। সেখানে আবরার সম্পর্কে সে খোঁজ নিয়েছিল। ম্যাসেঞ্জারের সেই স্ক্রিনশট বুয়েটের এক পড়ুয়া ফেসবুকে পোস্ট করে। ফলে, আবরারের হত্যায় অমিতের জড়িত থাকার বিষয়টি আরও জোরদার হয়।
সোমবার বুয়েটে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের পুলিশ। একটি ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রথমে ১০ জন ও পরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু অমিত গ্রেফতার না হওয়ায় বারবার প্রশ্ন উঠছিল। পুলিশ আবার জানায়, ঘটনায় সময় নাকি অমিত বুয়েটে উপস্থিতই ছিল না। ২ অক্টোবর সে দেশের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। বুয়েটের ছাত্র লিগের তদন্তেও উঠে এসেছে, তাদের নেতা-কর্মীরাই আবরারকে ডেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনার জেরে ছাত্র লিগ তাদের সংগঠন থেকে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে। যদিও সেই তালিকায় অমিতের নাম নেই।