সংক্ষিপ্ত

'শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই', বাংলাদেশি যুবকের কাতর বিজ্ঞাপনে আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া। বাংলাদেশের বগুড়ার জগরুল এলাকায় বাতিস্তম্ভে দেওয়া আলমগীর কবিরের ওই বিজ্ঞাপনের ছবি এখন ভাইরাল। 

 

 

'শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই', বাংলাদেশি যুবকের কাতর বিজ্ঞাপনে আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া। বাংলাদেশের বগুড়ার জগরুল এলাকায় বাতিস্তম্ভে দেওয়া আলমগীর কবিরের (Bangladeshi youth Alamgir Kabir) ওই বিজ্ঞাপনের ছবি এখন ভাইরাল। 

আলমগীর কবির নিজেকে ওই বিজ্ঞাপনে পেশায় বেকার বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'শুধুমাত্র দুবেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই'। তিনি প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অঙ্ক ছাড়া সব বিষয়েই পড়াতে পারবেন। বিজ্ঞাপনে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তিনি তার ফোন নম্বরও দিয়েছেন। তবে বিজ্ঞাপনের ভিড়ে তার এই কাতর আকুতি পৌছে গিয়েছে তামাম নেটদুটিয়ায়। আলমগীর আরও জানিয়েছেন,বাংলাদেশের বগুড়ার জগরুল এলাকার আশেপাশেই গৃহ শিক্ষক হিসাবে পড়াতে চান। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকত্তোর পাশ করেছেন। চাকরি খুঁজছেন। কিন্তু কিছুই এখনও তেমন চাহিদা মতো পাননি।গাতে রয়েছে একটি মাত্র টিউশনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেখান থেকে মেলে হাজার দেড়েক টাকা। এর থেকেই হাত খরচ, চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার খরচ, দুবেলা দুমুঠো খাওয়া, সবই যে সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে ওই বিজ্ঞাপন। যেখানে শুধুমাত্র ভাত খেয়ে ক্ষুদা মিটিয়েই তিনি গৃহ শিক্ষকতা করবেন।

আরও পড়ুন, Budget 2022: দেশের শিক্ষাখাতে কী কী চমক, কোভিড পরিস্থিতিতে কতটা চ্য়ালেঞ্জের মুখোমুখি সরকার

জয়পুরহাট পাঁচবিবির বাসিন্দা কবীরের এই বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই তাঁকে ফোন করেছেন। কেউ রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকত্তোর পাশ করা আলমগীরকে পোশাক তৈরির  কারখানায় চাকরি দিতে চেয়েছেন। তবে চাকরিতে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় ছুটি পেতে অসুবিধা হবে বলে সেই সুযোগ নেননি। গায়ে শীতের শাল গিয়ে দিয়ে মুখে একরাশ দাঁড়ি নিয়ে চশমার ভিতরে দৃঢ়ভাবে তাঁকিয়ে থাকা আলমগীরের সাদাকালো ওই বিজ্ঞাপণের ছবিটি সত্যিই মায়াবী বলে দাবি তামাম নেট দুনিয়ার। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্নানকোত্তর হয়েও বাংলাদেশে মিলছে না উপযুক্ত চাকরি। এই ঘটনা ততটা ব্যতিক্রমী না হলেও, ভাত খাওয়ানোর বদলে পড়ানো, এমন বিজ্ঞাপন শুধু বাংলাদেশ কেন, ভারতও এর আগে দেখেছে কিনা সন্দেহ। চরম দুরাবস্তার মধ্যেও নিজের আত্মসম্মানটুকু নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল। পকেটে টাকা নেই বলে যেকোনও পেশায় তিনি এগিয়ে যাননি। শিক্ষিত হওয়ার পর উপযুক্ত চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত গৃহ শিক্ষকতাকেই  বাংলাদেশের আলমগীর বেছে নিয়েছেন। বলাই বাহুল্য এহেন যার তীব্র জেদ, সেতো আগামীদিনে উপযুক্ত স্থান পাবেনই। তবে তাঁর এই বিজ্ঞাপন রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে তামাম বাংলাদেশবাসীকে।