সংক্ষিপ্ত

  • রাম নামের দোহাই দিয়ে  একের পরে গণপিটুনি ও হত্যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিশিষ্টজনরা
  • তাঁদের অভিযোগ, জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে ধর্মীয় উস্কানি দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে
  • বলা হয়, ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটছে

রাম নামের দোহাই দিয়ে  একের পরে গণপিটুনি ও হত্যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিশিষ্টজনরা। নরেন্দ্র মোদীকে এই নিয়ে চিঠি দিলেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে ধর্মীয় উস্কানি দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বলা হয়, ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটছে। এই বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন অপর্ণা সেন, শ্যাম বেনেগাল, মণি রত্নম, রামচন্দ্র গুপ্ত, বিনায়ক সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অনুরাগ কাশ্যপ সহ আরও অনেকে। প্রত্যেকেই চিঠিতে সই করেছেন। 

সাংবাদিক বৈঠকে এদিন অপর্ণা সেন জানান, জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে বিদ্বেষ ছড়ানো  হচ্ছে। সংখ্যালঘু, খ্রিষ্টান, দলিত, মুসলিম এদের উপরে অনবরত আক্রমণ চলছে। এর বিরুদ্ধেই  আমরা সরব হয়েছি। এতে কোনও রাজনৈতি রং নেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন মাত্র এই বিষয়টি দেখার জন্য। এই ধরনের অপরাধকে জামিন অযোগ্য করে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।  এদের যাবজ্জীবন হওয়া দরকার। কারণ এ তো খিুন। হিন্দুদের সঙ্গেও এই অনাচার হলে বলব। মুসলিমদের উপরে হলেও বলব। যে কোনও মানুষকেই এভাবে গণপিটুনির মাধ্যমে যেন হত্যা না করা হয়।

আরও পড়ুনঃ রাম নাম নিয়ে কেন গণপিটুনি, হত্যা, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিলেন বিশিষ্টজনরা

অপর্ণা সেন আরও বলেন, মানবিক জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এই চিঠিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর কোনও রাজনৈতিক রং নেই। আমরা যারা সই করেছি কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমি সারা জীবন ইস্যু বেসড রাজনীতি করে এসেছি।

জয় শ্রীরাম প্রসঙ্গও উঠে আসে অভিনেত্রী তথা পরিচালকের মুখে।তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কেন মানুষকে মরতে হবে। যে কোনও ধর্মের মানুষই স্বাধীনভাবে বাঁচবে না কেন। আমায় যদি জোর করে জয় শ্রীরাম বা আল্লা হু আকবর বলতে বলা হয় আমি আপত্তি করব। কারণ আমি অগ্রবাদী। 

অপর্ণা সেন জানান, এই ধরনের অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সে ভাবে শাস্তি হচ্ছে  না। শাস্তি যদি জামিন অযোগ্য হতো তা হলে এত সমস্যা হতো না। এই নিয়েই আবেদন  করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। কারণ তিনি তো আমাদেরও প্রধানমন্ত্রী। যাঁরা প্রতিবাদী তাঁদেরও প্রধানমন্ত্রী। আমরা প্রতিবাদও করছি আবার আবেদনও করছি, যাতে তিনি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। 

এছাড়াও প্রতিবাদ করলেই যাতে দেশবিরোধী তকমা না দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন বিশিষ্টজনরা। এখন দেখার নরেন্দ্র মোদী এই চিঠির উত্তরে মুখ খোলেন কি না।