সংক্ষিপ্ত

কফি হাউস গান সৃষ্টির মাধুর্য্যতা সাধারনের মনে এক অন্য মাত্রার নস্ট্যালজিয়া। সেই সেরার সেরা গানকে নিয়েই মন্তব্য করে এবার বেজায় বিপাকে পড়তে হল বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্ত্রী সোহিনী দাশগুপ্তকে। 

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা (Coffee House Er Sei Addata) , বাঙালির কাছে এক কথায় নস্ট্যালজিয়া (Bangla Song), পরতে-পরতে আগেব জড়িয়ে থাকা এই গানের সঙ্গে যেন মুহূর্তে চোখের সামনে ভেসে ওঠে একরাশ পুরুনো স্মৃতি, গৌরী প্রসন্ন মজুমদার, সুপর্ণকান্তি ঘোষ ও মান্না দে (manna Dey Song), যে নামটিই উঠে আসুক না কেন সামনে এই সৃষ্টির মাধুর্য্যতাকে তা সাধারণের মনে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। সেই সেরার সেরা গানকে নিয়েই মন্তব্য করে এবার বেজায় বিপাকে পড়তে হল বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্ত্রী সোহিনী দাশগুপ্তকে (Buddhadeb dasgupta Wife Sohini Dasgupta)। তাঁর কথায়- এটি একটি লুজার সং, সাত ন্যাকার ঘ্যানঘ্যান, নস্ট্যালজিয়ার প্রকৃত স্ট্যান্ডারের অভাব, এরপরই রে রে করে ওঠে নেট দুনিয়া। তারপরই বিতর্কে জড়ায় এই নাম, এক প্রথমসারির সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, তিনি হঠাৎই রেডিও-তে এই গানটি শোনেন, তারপরই এমনটা মনে হওয়ায় মন্তব্য করে বসেন (Social Media Viral Post)। 

এই মন্তব্যের পর নেটদুনিয়ায় যদিও সামনে আসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, তবে এই কমেন্টটি বর্তমানে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় নেই। সংবাদ মাধ্যমের চোখে বিষয়টা আসা মাত্রই তিনি তা সরিয়ে ফেলেন, তিনি নিজের সপক্ষে এদিন জানিয়েছেন, আটের দশকের প্রথমে শোনা এই গান বেশ ভালো লাগত, সুর-কথা সবই অনবদ্য, এরপর বড় হয়ে ওঠা, ঠিক যেন বাবা-মেয়ের সম্পর্কে জড়ালো এক গল্প গানে গানে উপস্থাপন করা, তবে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে মনে হয় এই গান হেরে যাওয়া মানুষদের, কিছু ব্যর্থ হওয়া মানুষদের, তাঁরাও চোখের জলে ভাসছে। তিনি এদিন সাফ জানিয়েছিলেন, কফি হাউসের স্মৃতির সঙ্গে কেবল বিষাদই কেন থাকবে! কেন থাকবে না ভালো স্মৃতিগুলো, বা আনন্দের প্রসঙ্গ, তবে তিনি শেষটায় জানান, যে তিনি নিজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকেই এমন মন্তব্য করেছেন, কাউকে আঘাত করতে নয়। 

আরও পড়ুন-ইংল্যান্ডের রানির প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি, কেন তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন জানেন

আরও পড়ুন-লতা মঙ্গেশকরের কোলের বাচ্চাটিকে চিনতে পারছেন, ভাইরাল ছবিতে চোখে জল ভক্তদের

আরও পড়ুন-নিজের বায়োপিকে কাকে পছন্দ ছিল বাপ্পি লাহিড়ির, 'ডিস্কো কিং'- স্বপ্নপূরণ কি আদৌ হবে

গানটি ১৯৮৩ সালে গেয়েছিলেন মান্না দে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ গান যেন আজও তরুণ, প্রণবন্ত, বাঙালি শ্রোতার মনে যুগ যুগ ধরে যে গানের কথা আর সুরে মিশে এই সব চরিত্রেরা প্রাণবন্ত হয়ে আছে, বাস্তবে তাদের কারোরই দেখা মিলবে না বলেই জানিয়েছিলেন এ গানের সুরস্রষ্টা সুপর্ণকান্তি ঘোষ। গানের ছত্রে ছত্রে জড়িয়ে থাকা চরিত্রেরাই যেন এই গল্পের নায়ক-নায়িকা। তাঁরা এই গান প্রেমীদের আজও খুব কাছের।