সংক্ষিপ্ত
বাপ্পি লাহিড়ির জন্ম জলপাইগুড়িতে, এরপর টানা ১১ বছরের সফরনামা খাস কলকাতায়, বাপ্পি লাহিড়ির দক্ষিণ কলকাতার বাড়ির বর্তমানে ঠিক কি পরিস্থিতি! না পরিত্যক্ত নয়, বরং সেই বাড়ির বর্তমান মালিক হলেন বাসুদেব সিনহা।
বাপ্পি লাহিড়ি, এই নামটার সঙ্গে জড়িয়ে টলিউড বাংলার (Tollywood) ঠিক যতটা গভীর স্মৃতি, ঠিক ততটাই গভীর সংযোগ তাঁর বাংলার সঙ্গে, আর কারণটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না, বাপ্পি লাহিড়ির (Bappi Lahiri In Kolkata) জন্ম জলপাইগুড়িতে, এরপর টানা ১১ বছরের সফরনামা খাস কলকাতায় (Kolkata Residence) , বাপ্পি লাহিড়ির দক্ষিণ কলকাতার বাড়ির (Bappi Lahiri South Kolkata House) বর্তমানে ঠিক কি পরিস্থিতি! না পরিত্যক্ত নয়, বরং সেই বাড়ির বর্তমান মালিক হলেন বাসুদেব সিনহা (Basudev Sinha) । সকলকে কাঁদিয়ে ঘুমের দেশে ডিস্কো কিং, গোটা দেশ জুড়ে শোকপালনে সামিল এই বাড়ির বর্তমান মালিও। প্রথমসারির এক সংসাবদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী তিনি জানান, ১১ বছর ধরে এই বাড়িতেই ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি, তারপর তাঁর মুম্বইতে চলে গিয়েছিলেন। বাঁশদ্রোণীর এই স্থানেই মা-বাবার সঙ্গে বাপ্পি লাহিড়ির বেড়ে ওঠা।
বাড়িটি টলিপাড়ার স্টুডিও অর্থাৎ মেগা এনটি স্টুডিওর একদম পাশেই। তাই চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্পর্কিত মানুষেরা হামেসাই এই চত্বরেই থাকতেন। বর্তমান মালিকের বাবার সঙ্গে বাপ্পি লাহিড়ির পরিবারের যোগাযোগ ছিল, বাড়ির মালিককে জিজ্ঞেস করেছিলেন তিনি বাপ্পি লাহিড়ির একটি ঘর সেখানে থাকতে পারে কিনা! তবে সেই সব স্মৃতি আজ বড়ই যন্ত্রণার, কারণ সকলকে ছেড়ে আজ সেই সকলের প্রিয় বাপ্পি লাহিড়ি চিরনিদ্রায়। তবে বর্তমান মালিক বাপ্পি লাহিড়ির সঙ্গে দেখা করেননি কখনও, তবে তিনি বাপ্পি লাহিড়ির জন্ম সম্পর্কে অনেক তথ্যই জানেন, জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি, তিনি আরও জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় ও গুগুলে অনেক ভূল তথ্য রয়েছে, বর্তমান মালিকের মা জানান, যে তাঁর স্পষ্ট মনে পড়ে, একটা হলুদ ট্যাক্সিতে বাপ্পি লাহিড়িকে নিয়ে আসা হয়েছিল, এই বাড়িতে। তারপর টানা ১১ বছর ধরে তাঁরা এই বাড়িতেই ছিলেন।
আরও পড়ুন- খান্ডালার ফার্মহাউজেই বসছে ফারহান-শিবানীর বিয়ের আসর,অতিথি তালিকায় রয়েছেন কারা
আরও পড়ুন- লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা, 'পিয়া তোসে'-র তালে নাচ মৌনির, নজর আটকাল শাঁখা-পলায়
আরও পড়ুন- ম্যাজিকাল প্রেমে বিভোর জ্যাকলিন, 'বচ্চন পান্ডে' কি সোফির স্বপ্নপূরণ করতে পারবে
মৃত্যুকালে বাপ্পি লাহিড়ির বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর, মুম্বইয়ের সিটি কেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, ৮০-৯০ দশকের হিট মানেই বাপ্পি লাহিড়ি অন্যতম নাম। চিকিৎসারত ডাক্তার দীপক নমজোশির কথায়, তিনি এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের পক্ষ থেকে ছুটি। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি শারীরিক অবস্থার অবনতী ঘটে, পরিবারের তরফ থেকে ডাক্তারকে বাড়িতেই ডেকে পাঠানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শ তৎক্ষণাত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা থাকায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয়। অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে মৃত্যু ঘটে বাপ্পি লাহিড়ির। মধ্যরাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।