সংক্ষিপ্ত
বাড়িতে অতিথির দল। তাঁদের সামনেই তিনি মেঝেয় ‘বাবু’ হয়ে বসে। সামনে সিন্নি মাখার গামলা। তাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ময়দা, দুধ, চিনি, রাবড়ি, সন্দেশ, কাজু, কিশমিশের মতো স্বাদু উপকরণ। পাশে হাসিমুখে অর্পিতা। ‘বুম্বা’দা এক মনে সিন্নি মাখছেন!
রবিবাসরীয় সকাল সরগরম। ‘উৎসব’ বাটীতে আজ সত্যিই উৎসবের মেজাজ। এই দিনে তিনি নিখুঁত গৃহকর্তা! গিন্নি অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে পুজোয় যাবতীয় আয়োজনে উপস্থিতি তাঁর। তিনি ‘বাবু’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ইন্ডাস্ট্রির মতোই তিনি যে বাড়িরও ‘স্তম্ভ’, প্রমাণ দেন প্রতি বছরের লক্ষ্মীপুজোয়। এ দিন তিনি ঘরোয়া ‘বুম্বা’। ধনদেবীর আরাধনার খুঁটিনাটির দিকে সজাগ নজর। হোম থেকে অঞ্জলি— সবেতেই তিনি। এমনকি, স্ত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে সত্য নারায়ণ পুজোর সিন্নিও মাখেন নিজের হাতে। এ বছরেও সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি।
চলতি বছর কোজাগরী পূর্ণিমা আগের দিন গভীর রাতে পড়েছে। ফলে, রবিবার সকাল থেকেই বাঙালি লক্ষ্মীদেবীর আরাধনায় ব্যস্ত। সেই চেনা ছবি বাংলার সুপারস্টারের বাড়িতেও। সকাল সকাল স্নান সেরে তিনি দুধসাদা মাঝারি ঝুলের কুর্তা-পাঞ্জাবি, বেলুন প্যান্টে কেদাদুরস্ত। কপালের উপরে আলগোছে পড়ে থাকা চুল ব্যান্ডের শাসনে যথাস্থানে। বাড়িতে অতিথির দল। তাঁদের সামনেই তিনি মেঝেয় ‘বাবু’ হয়ে বসে। সামনে সিন্নি মাখার গামলা। তাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ময়দা, দুধ, চিনি, রাবড়ি, সন্দেশ, কাজু, কিশমিশের মতো স্বাদু উপকরণ। পাশে হাসিমুখে অর্পিতা। তিনি লক্ষ্মীমন্ত টুকটুকে লাল শাড়িতে। ‘বুম্বা’দা এক মনে সিন্নি মাখছেন!
এখানেই শেষ নয়। হোমের সময় সারা ক্ষণ সামনে দাঁড়িয়ে থেকে যজ্ঞ দেখেছেন। যজ্ঞে অংশও নিয়েছেন। কপালে পড়েছেন হোমের টীকা। শ্বেতপাথরে মোড়া ঠাকুর ঘরে আরতি হচ্ছে। প্রসেনজিৎ জোড় হাতে দাঁড়িয়ে। কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়েছেন অর্পিতা। তার আগে টলিউডের ‘ফার্স্ট লেডি’ নিজের হাতে দেবীর আসন সাজিয়েছেন। শেষে পুষ্পাঞ্জলি। দেবীর কাছে কী চাইলেন প্রসেনজিৎ? বরাবরই তিনি শুধুই নিজের জন্য নয়, ঈশ্বরের কাছে সবার মঙ্গলকামনা করেন। এ বারেও নিশ্চয়ই তার অন্যথা হয়নি।
রাতে তাঁর বাঁধা নিমন্ত্রণ বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। পল্লবী প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজোয় নিজের হাতে ভোগ রান্না করেন। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে তিনি নিজে বলেছেন, ‘‘দদা এলে আমরা বাড়ির সবাই ওকে ঘিরে গোল হয়ে খেতে বসি। সঙ্গে জমাটি আড্ডা। আমার হাতের খিচুড়ি ভোগ আর বড়ি ভাজা দাদার ভীষণ প্রিয়। সবার আগে এই দুটো চেয়ে খাবে। বুম্বাদার নামে গুঞ্জন, দাদা নাকি খায় না। ভগবানের মতো দৃষ্টিভোগ দিয়ে সেরে দেয়! আপনাদের জানাচ্ছি, পছন্দসই খাবার পেলে দাদা কিন্তু গুছিয়ে খায়। যেমন, পুজোর সমস্ত ভোগ দাদা চেখে দেখে। তবে অল্প পরিমাণে। আসলে দাদার খাওয়াটাই অল্প।’’
আরও পড়ুন-
ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মী সংগঠনের ডাক, সাড়া দিল না কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন
অয়নের ত্রিকোণ প্রেম, নাকি প্রীতির সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়া, কোন কারণে তাকে সরিয়ে দিতে চাইল প্রীতির পরিবার?
শ্যালিকার বোনের সঙ্গে সম্পর্ক, এরপর নিজের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার লোভেই কি খুন হয়েছিলেন হাওড়ার রেলকর্মী?