সংক্ষিপ্ত
- সুশান্তের শেষ ছবি দিল বেচারা আর কয়েকঘন্টা পরই মুক্তি পাবে ওটিটিতে
- ছবি মুক্তির আগেই আবেগঘন হয়ে পড়েছেন কিজি ওরফে সঞ্জনা সাঙ্ঘি
- নিজের সোশ্যালে ছবির একটি দৃশ্য পোস্ট করে আবেগঘন পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী
- ক্যান্সারে আক্রান্ত কিজি আর ক্যান্সার জয়ী ম্য়ানির ভালবাসার গল্প তুলে ধরা হয়েছে
অবশেষে আজ এল সেই দিন। আর মাত্র কয়েকঘন্টার অপেক্ষা। শেষবারের মতো রূপোলি পর্দায় জ্বলজ্বল করে উঠবে সেই হাসিমাখা মলিন মুখটা। সুশান্তের শেষ ছবি 'দিল বেচারা' আর কয়েকঘন্টা পরই মুক্তি পাবে ওটিটিতে। সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে বসে আছেন। ট্রেলারেই যা রেকর্ড গড়েছে, পুরো ছবি প্রকাশ্যে আসলে কি হতে চলেছে তার আঁজ এখনই পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ছবি মুক্তির আগেই আবেগঘন হয়ে পড়েছেন কিজি ওরফে সঞ্জনা সাঙ্ঘি। হওয়াই কি খুব স্বাভাবিক নয়। এরকমই একটা অভিনেতার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করাটা যে জীবনে শুরু এবং শেষ হবে তা হয়তো কোনওদিনই ভাবেননি সঞ্জনা।
আরও পড়ুন-মহানায়ক আজও 'মাস্টারমশাই', প্রয়াণ দিবসে গুরুকে প্রণাম প্রসেনজিৎ-সৃজিতের...
সম্প্রতি নিজের সোশ্যালে ছবির একটি দৃশ্য পোস্ট করে আবেগঘন পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, 'আমার ম্যানি, আমি জানি তুমি দূর থেকেই সমস্ত দেখছ আর আশীর্বাদও করছ। আমরা তোমাকে দেখতে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছ। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তুমি নেই। আমার প্রথম সিনেমা কীভাবে তোমার শেষ ছবি হতে পারে? তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, আমাকে সাহস জোগানোর জন্য। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। ' মুহূর্তের মধ্যে কিজির এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
আরও পড়ুন-সুশান্তের জয়জয়কার, শেষ ছবি 'দিল বেচারা' একসঙ্গে দেখার শপথগ্রহণ সোশ্যাল মিডিয়ায়...
ছবি ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। কাস্টিং ডিরেক্টর থেকে পরিচালক মুকেশ ছাবড়াও এই ছবি দিয়েই পরিচালনার হাতেঘড়ি। আর সুশান্তের শেষ। সবকিছুই যেন বড্ড তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। ছবিতে বাঙালি অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেছে। স্বস্তিকার সঙ্গে সুশান্তের শুটিং সেটের পাগলপান্তিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। জন গ্রিনের লেখা উপন্যাস 'দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টার' অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। ছবিতে ক্যান্সারে আক্রান্ত কিজি আর ক্যান্সার জয়ী ম্য়ানির ভালবাসার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি মুহূ্র্তে লড়াই করে বাঁচতে শেখাবে ম্যানি। কিন্তু নিজের জীবনের লড়াইয়ে সে আর জিততে পারল না। ছবি মুক্তি যতটা না আনন্দের, তার চেয়ে বেশি কষ্টের তার না থাকাটা।