সংক্ষিপ্ত
- শুধু অভিনয় বা সৌন্দর্যেই নয়। নিজের কাজেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন
- ২০০০ সালে বড় মেয়ে রেনিকে দত্তক নেন সুস্মিতা
- আর ২০১০-এ আলিশাকে দত্তক নেন তিনি
শুধু অভিনয় বা সৌন্দর্যেই নয়। নিজের কাজেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন। ২০০০ সালে বড় মেয়ে রেনিকে দত্তক নেন সুস্মিতা। আর ২০১০-এ আলিশাকে দত্তক নেন তিনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের কাছে এই প্রসঙ্গে কথা বলেন সুস্মিতা। সুস্মিতা জানান একদিন তিনি রেনির সঙ্গে খেলছিলেন। খেলাটা হল, সুস্মিতা লম্বা হলে রেনি বেঁটে। সুস্মিতা বড়, তার মানে রেনি ছোট। এর পরেই বেছে নিতে হয় বায়োলজিকাল ও অ্যাডপ্টেড (দত্তক নেওয়া) এই দুই অপশনের মধ্যে। তখন রেনি খেলার ছলেই জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কি অ্যাডপটেড।
সুস্মিতা তখনই রেনিকে সবটা খুলে বলেন। সঙ্গে বলেন "বায়োলজিকাল ইজ বোরিং। তুমি এদের মধ্যে বিশেষ।" ছোট্ট রেনিকে যে বোঝাতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি, তা-ও জানান সুস্মিতা।
এমনকী, সুস্মিতা জানান, ১৮ বছর পূর্ণ হলে রেনি যাতে তাঁর আসন মা-বাবার খোঁজ করে তা-ও চেয়েছিলেন তিনি। রেনি এ বিষয়ে সুস্মিতাকে একদিন জিজ্ঞাসা করেন, "তুমি কেন চাও আমি গিয়ে ওদেরকে খুঁজি।"
সে সময়ে সুস্মিতা বলেন, "আমি তোমাকে গিয়ে খুঁজতে বলছি না। এটাই বলছি যে ওদেরকে খোঁজার অধিকার আছে তোমার।" সুস্মিতা জানান বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পরে রেনে বলেন, তিনি আর খুঁজতে চান না।
সুস্মিতা যে তাঁর দুই মেয়ে রেনি ও আলিশাকে নিয়ে খুশিতে দিন কাটাচ্ছেন, তা তাঁর ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। প্রায়ই তাঁরা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যান। একসঙ্গে ছুটি কাটাতে যান। আবার কখনও গান বাজনাও করেন। তা সিনেমা জগৎ থেকে দূরে থাকলেও দুই মেয়ে ও বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে যে তিনি ভালই আছেন, তা বলাই যায়।