সংক্ষিপ্ত
নিরাপদ নয় কাবুল বিমান বন্দর। জঙ্গি হানার সতর্কতা জারি করে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিল ব্রিটেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আনেরিকা আর অস্ট্রেলিয়া।
অগ্নিগর্ভ আফগানিস্তানে নতুন করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এবার কাবুল বিমান বন্দরকে টার্গেট করতে পারে জঙ্গিরা। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিনের সরকার জানিয়েছে, কাবুল বিমান বন্দরে যে কোনও সময়ই বড় ধরনের জঙ্গি হামলা হতে পারে। সেই কারণে আগে থেকেই বিমান বন্দর আর সংলগ্ন এলাকার মানুষদের দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। জঙ্গিদের মূল লক্ষ্যই হবে উদ্ধারকাজে বাধা দেওয়া আর জরুরি বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া। তাই আগে থেকেই সাবধান করছে ব্রিটেন।
ব্রিটেনের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস (FCDO) বুধবার জানিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিটিশ নাগরিক আর অন্যান্য গৃহহারাদের নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে বার করা অত্যন্ত জরুরি। কাবুল বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় রীতিমত অরাজকতা তৈরি হয়েছে। ব্রিটেন আরও জানিয়েছে, আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা পরিচালনা করতে পারে ইসলামিক স্টেট (ISIS)এর আফগানিস্তানের শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান (ISIS-K)। আত্মঘাতী জাঙ্গি হামলা আর গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে রীতিমত দক্ষ এই জঙ্গি সংগঠন।
'কথা রাখেনি তালিবানরা', আফগানিস্তান নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে ভারতীয়দের নিরাপত্তায় জোর কেন্দ্রের
কংগ্রেস নেতা শশী থারুরর মিম ভাইরাল, নিজের সেরা তিনটি ছবি বেছে প্রশংসায় পঞ্চমুখ মিম শ্রষ্ঠাদের
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অযথা কাবুল বিমান বন্দরে না আসাই শ্রেয়। একই সঙ্গে বিমান বন্দর সংলগ্ন এলাকায় যারা থাকে তাদেরও নিরাপদ আশ্রয় অন্যত্র যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। আফগানিস্তানের নিরাপত্তার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন। ব্রিটেনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর অস্ট্রেলিয়াও একই রকম সতর্কতা জারি করেছে।
'এগুলি প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তি নয়', মনিটাইজেশন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিশানায় নরেন্দ্র মোদী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। চলতি সপ্তাহের প্রথমেই তিনি জানিয়েছিলেন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩১ অগাস্টের থেকে আর বাড়ান হবে না। তখনও তিনি জঙ্গি হামলা নিয়ে উদ্ধেগ জানিয়েছিলেন। কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখনও মার্কিন সেনাদের হাতে রয়েছে। মাত্র ৫৮০০ জন মার্কিন সেনা রয়েছে কাবুল বিমান বন্দরে।
ব্রিটেন জানিয়েছে দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি যেসব আফগানরা দেশ ছাড়তে চাইছেন তাদেরও দ্রুতগতিতেই উদ্ধার করা হচ্ছে। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ১৩ অগাস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজার সাধারণ মানুষ আর ১ হাজার ব্রিটিশ সৈন্যকে ইংল্যান্ডে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে।