সংক্ষিপ্ত


আফগানিস্তান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকে সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী। ভারতীয়দের দেশে ফেরানোই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও জানিয়েছেন তিনি।  
 

তালিবান অধিকৃত যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্থান থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনা অগ্রাধিকার পাবে। আফগানিস্থান ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে এমনটাই বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিনের বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন আফগানিস্থানের পরিস্থিতি সংকটজনক। দোহায় তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পুরণ করেনি। ১৫ আগাস্ট তালিবানরা কাবুল দখল করে। তারপর থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৮০০ মানুষকে এই দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। 

বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন অপারেশন 'দেবী  শক্তি'র অধীনে ৬ বিমান চালান হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই অধিকাংশ ভারতীয়কেই উদ্ধার করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরককে উদ্ধার করা যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার সকল ভারতীয়কে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার কের দেশে ফেরাতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতীয়দের আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করছে। বলেও জানিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। 


কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কাবুল থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর জন্য দুটি বিমান চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারত এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ ভারতীয় নাগরিককে ফিরিয়ে এনেছে। অন্যান্য দেশের প্রায় ৬০০ নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। যারমধ্যে কিছু আফগান নাগরিকও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা এতিমধ্যেই ভারতে আসতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কাবুল থেকে এদেশে আসা কয়েকজন আফগান নিজের নাম নথিভুক্ত করেনি। যা নিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যা হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

কংগ্রেস নেতা শশী থারুরর মিম ভাইরাল, নিজের সেরা তিনটি ছবি বেছে প্রশংসায় পঞ্চমুখ মিম শ্রষ্ঠাদের

afghanistan crisis পঞ্জশিরে তালিবানদের অহংকার চূর্ণ হওয়ার মুখে, হতে পারে ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি

এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকের মূল ফোকাস ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফাগানিস্তান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আর সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরী, শরদ পাওয়ার, টিআর বালু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ,ভাস্তারা বিমানে এয়ার লিফ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে বায়ু সেনার বিশেষ বিমানও। নিরাপত্তার জন্য তাজিকিস্তান আর কাতার দিয়ে বিমান চলাচল করছে। 

'এগুলি প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তি নয়', মনিটাইজেশন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিশানায় নরেন্দ্র মোদী

তালিবানরা কাবুল দখল করে জানিয়েছিল তারা রক্তপাত চায় না। মোটের ওপর,গজনি থেকে কাবুল বিনা যুদ্ধেই দখল করেছিল তালিবানরা। কিন্তু তারপরই কাবুল সহ বেশ কিছু এলারায় নৈরাজ্য তৈরি হয়। ন্যাটোর এক কর্তা জানিয়েছেন তাঁরা কাবুল বিমান বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।১৫ অগাস্ট থেকে এপর্যন্ত বিমান বন্দর সংলগ্ন এলেকায় প্রায় ২০জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি সূত্র বলছে কাবুলের নিরাপত্তা দায়িত্ব তালিবানরা দিয়েছে তাদের জোটসঙ্গী হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে। এখনও পর্যন্ত হাক্কানির সদস্যরা হত্যালীলায় মেতে ওঠেনি। কিন্তু বন্দুক আর রকেট লঞ্চাল নিয়ে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তালিবান আতঙ্কে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন সাধারণ আফগানরা। যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিয়েছে। 

YouTube video player