সংক্ষিপ্ত
- প্রাণের ঝুঁকিতেও পিছুপা হননি তিনি
- শরীরে করোনা সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়েছেন স্বেচ্ছায়
- দুর্গাপুরের শিক্ষকে সংবর্ধনা এবিভিপি-এর
- অনুষ্ঠানের আয়োজন বীরভূমের রামপুরহাটে
আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: প্রাণের ঝুঁকি আছে জেনেও পিছিয়ে যাননি। দু'দফায় নিজের শরীরের নিয়েছেন করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধক কোভ্য়াকসিন। দুর্গাপুরের সেই সাহসী শিক্ষক চিরঞ্জিৎ ধীবরকে সংবর্ধনা দিল একল যুবা ও ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। ভারতের তৈরি প্রতিষেধকই হবে বিশ্বসেরা, আশা চিরঞ্জিতের।
আরও পড়ুন: প্রসূতির রিপোর্টে ভুল, ডায়গনস্টিক সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিলেন পরিবারের লোকেরা
করোনার আতঙ্ক থেকে মুক্তি মিলবে কবে! ভ্যাকসিন তৈরিতে উঠে পড়ে লেগেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। পিছিয়ে নেই ভারতও। কোভ্যাকসিন নামে একটি প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলেছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। সেই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল বা মানবদেহে পরীক্ষা অংশ নিয়েছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ ধীবর। তিনি নিজেই মেল পাঠিয়ে ভলান্টিয়ার হওয়ার আবেদন জানান। আইসিএমআর থেকে ডাকও আসে। ২৯ জুলাই ও ১২ অগাস্ট চিরঞ্জিতের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবেল কোভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন বিজ্ঞানীরা। এরপর বেশ কয়েকটি রুটিন পরীক্ষাও করা হয় তাঁর। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হওয়ায় শেষপর্যন্ত বাড়ি ফেরার অনুমতি পান ওই শিক্ষক। অগাস্ট মাসের শেষের দিকে সুস্থ অবস্থায় দুর্গাপুরে ফেরেন তিনি।
সাহসিকতা ও দেশভক্তির জন্য চিরঞ্জিৎ ধীবরকে যৌথভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীর বিদ্যার্থী পরিষদ ও একল যুবা নামে সংগঠন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বীরভূমের রামপুরহাটে। সোমবার রামপুরহাটে পৌঁছে প্রথমে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন চিরঞ্জিৎ। তারপর শহরের রেলপাড়ের একটি অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে। যতদিন না ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক বাজারে আসছে, ততদিন মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিনে চিরঞ্জিৎ।