সংক্ষিপ্ত
মদ বিক্রি করে আবগারি দফতর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে রাজ্যের কোষাগারে। রাজ্যের মোট আয় হয়েছে প্রায় ২৩ কোটি টাকা। যে পরিমান মদ বিক্রি হয়েছে তার ৩ ভাগেরও বেশি হল দেশি মদ।
অতিমারি পরিস্থিতিতে (Covid 19) বিভিন্ন সংস্থায় কর্মীদের মাস মাইনেতে কাঁচি চলেছে। বহু মানুষ তাঁদের কর্মক্ষেত্র হারিয়েছে। রীতিমত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কিন্তু রাজ্যে মদ (Liquor) বিক্রির পরিমানের রেকর্ড কিন্তু অন্য কথা বলছে। করোনাকালে কোনও রকম আর্থিক সঙ্কটের (Financial Crisis) সৃষ্টি হয়েছে সেই চিত্র কোথাও যেন একেবারে উধাও। উল্টে এই রাজ্যে এতটাই বেশি পরিমানে মদ বিক্রি (Liquor Sell) হয়ছে যে আবগারি দফতর (Excise Depertment) থেকে কোষাগারে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে। যাকে বলে একেবারে ফুলে ফেঁপে উঠেছে রাজ্যের কোষাগার (State Treasury)। সুত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১৮ মাসে মদ (Liquor) বিক্রি করে রাজ্যের আয় হয়েছে প্রায় ২৩ কোটি টাকা (Earn 23 Crore From Liquor sell)। এই পরিমান আয় নাকি এর আগে কখনও হয় নি। মাহামরি পরিস্থিতিতে মানুষের পকেটে টান পরলেও মদের বিক্রিতে কোনও রকম প্রভাব পড়ে নি সে কথা একেবারে স্পষ্ট। একই সঙ্গে আরও একটা কথা বলাই বাহুল্য, এই রেকর্ড আয়ের বেশিরভাগটাই নাকি এসেছে দেশী মদ বিক্রি করে।
উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে যে পরিমান মদ বিক্রি হয়েছে তার ৩ ভাগেরও বেশি হল দেশি মদ (Desi wine)। এর পর রেকর্ড বিক্রির তালিকায় রয়েছে বিয়ার (Beer)। গত বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দুর্গাপুজোই রেকর্ড মদ বিক্রি হয়েছিল এই রাজ্যে। এবার সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেল বড়দিন থেকে নববর্ষের উৎসবের মরশুম। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুায়ারির অর্থাৎ বর্ষবরণের সময় পানশালা থেকে রেস্তোরা মদ বিক্রিতে কোনও অংশে খামতি নেই। আর সেই জন্যই দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রির রেকর্ডকেও একেবারে ছাপিয়ে গেছে। সুত্রের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) বড়দিন থেকে বর্ষবরণ, এই সময় পানশালা থেকে রেস্তোরাতেই প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। আর গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন-‘দুয়ারে মদে’ সবুজ সংকেত আবগারি দপ্তরের, কবে থেকে ঘরে বসেই মদ পাবেন সুরপ্রেমীরা
করোনাকালে এই বিপুল পরিমান মদ বিক্রির পরিমান একটু চমকে দিলেও, একেবারে কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে আবগারি দফতর থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে এবং একই সঙ্গে বেআইনি মদ বিক্রিতে লাগাম টানতে রাজ্য সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এমন কি চোলাই মদের কারবার কমাতে মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে দেশি মদের যোগানের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য। আর এর ফলে চোলাই মদের বিক্রি কমার পাশাপাশি দেশি মদের বিক্রি বাড়ে এবং রাজ্যে রাজস্বের পরিমান বৃদ্ধি পায়। শুধু ৩০ টাকায় ৩০ মদের সূচনাই নয়, ১৬ নভেম্বর থেকে এই রাজ্যে বিলিতি মদের দামও বেশ খানিকটা কমানো হয়। রাজস্ব বৃদ্ধির জন্যই রাজ্যের আবগারি দফতর এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। রাজ্যের অর্থভান্ডারে লাভের জন্য রাজ্যের নেওয়া পদক্ষেপ যে কার্যকরী হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।