সংক্ষিপ্ত
মেডপ্লাস হেলথ হল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফার্মাসি রিটেইল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে মেড প্লাসের আইপিও। সোমবার শুরু হল আইপিও প্রোগ্রামের সাবস্ক্রিপশন ।
একদিকে যখন শেয়ার মার্কেটে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নেওয়ার জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত লাইফ ইন্সিওরেন্স করপোরেশন তখন অন্যদিকে আইপিও-র মার্কটে পা রাখল ফার্মেসি রিটেইল চেইন মেডপ্লাস(Med Plus) হেলথ সার্ভিস। ১৩ ডিসেম্বর থেকে খুলে গেল মেড প্লাস আইপিও(Med Plus IPO)-তে বিনিয়োগের দরজা। ৩ দিন ব্যাপি চলবে এই আইপিও প্রোগ্রাম(3 days IPO)। অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেড প্লাসের আইপিও-তে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। ১,৩৯৮.৩০ কোটি টাকার লক্ষ্য নিয়ে মেড প্লাস হেল্থ সার্ভিসেস-এর প্রথম দিনের অর্থাৎ সোমবারের আইপিও প্রোগ্রামের সাবস্ক্রিপশন শুরু হল। মেডপ্লাস হেলথ হল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফার্মাসি রিটেইল। শুধু তাই নয় গোটা দেশ জুড়ে মেড প্লাসের ব্যাবসা তার পরিধি বিস্তার করেছে। মেড প্লাস তার সংস্থার প্রতিটি শেয়ার ৭৮০ থেকে ৭৯৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করবে। আইপিও চলাকালীন এই সংস্থার পক্ষ থেকে ৬০০ টাকার ফ্রেশ ইক্যুইটি ইস্যু করা হবে যেখানে শেয়ার হোল্ডার ও প্রমোটারদের অফলোড ইক্যুইটি শেয়ারের পরিমান হবে ৭৯৮.৩০ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন ১৮ টি শেয়ারে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। পরে অবশ্য় সেই ১৮ টি শেয়ারে এক জন বিনিয়োগকারী যেটুকু বিনিয়োগ করবে সেটাকে আবার ১৮ দিয়ে গুণ করা হবে। মেড প্লাস আইপিও(Med Plus IPO)-তে বিনিয়োগের এই পদ্ধতিটি চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মেড প্লাস আইপিও-র যে ১,৩৯৮.৩০ কোটি টাকার আকর্ষণীয় লক্ষ্য মাত্রাই এই সংস্থার আইপিও-তে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। ইতিমধ্যেই ভিন্নস্বাদের বিনিয়োগের মাধ্যম থেকে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি পেয়েছে মেড প্লাস। ব্রোকারেজ ফার্ম থেকে আইপিও-তে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক মত পেয়েছে এই ওষুধ বিক্রেতা সংস্থা। মেড প্লাসের ব্যবসার পরিধি ও আগামী দিনের গ্রোথের বিষয়টির জন্যই এই আইপিও-তে বিনিয়োগের জন্য ইচ্ছেপ্রকাশ করছে বিনিয়োগকারীরা। তবে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মত প্রকাশ করেছেন এক বিশিষ্ট সংস্থার ম্যানেজিং এডিটার অনিল সিংভি। তাঁর মতে, আইপিও-তে বিনিয়োগের আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। মেড প্লাস আইপিও-তে বিনিয়োগের বিষয় বলেছেন, এই সংস্থায় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিলে সেটা সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। এখানে বিনিয়োগের ভিত্তিতে একটা যুক্তিসঙ্গত তালিকাই তৈরি হবে বলে দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, সংস্থার স্টক থেকে দীর্ঘমেয়াদি একটা ভালো রিটার্ন পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। ইস্যু প্রাইজের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ প্রিমিয়ামে আইপিও-তে বিনিয়োগের তালিকা তৈরি করা হবে। তাঁর মতে, মেড প্লাসে বিনিয়োগের অন্যতম কারন হল এই সংস্থার ভ্যালুয়েশন আর ভালো ট্র্যাক রেকর্ড। সর্বোপরি এই সংস্থার প্রমোটাররা যথেষ্ঠ শক্তিশালী আর আজ পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও রকম মামলা দাখিল হয়নি। সব মিলিয়ে মেড প্লাস সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি ও লাভের পরিমান যথেষ্ঠ ভালো। সেই জন্যই রিটেইল চেইন কোম্পানি হিসেবে মেড প্লাসের জুড়ি মেলা ভার।
সংস্থার পক্ষ থেকে ৬০০ কোটি টাকার নতুন শেয়ার ইস্যু করা হবে। আর ৭৯৮.২৯ কোটি টাকার শেয়ার থাকবে অফার ফর সেলের(OFS) জন্য। মেড প্লাস আইপিও-তে বিশেষভাবে নজর কাড়ছে অ্যক্সিস ক্যাপিটাল, ক্রেডিট সুইস সিকিওরিটিস, এডিলউইস ফিনানসিয়াল সার্ভিসেস এবং নমুরা ফিনানসিয়াল অ্যাডভাইজরি অ্যান্ড সিকিওরিটিস। বর্তমনে বিভিন্ন নামী-দামী সংস্থা গুলো মোটা টাকা লাভের জন্য বেছে নিচ্ছে আইপিও প্রোগ্রামকে। তবে আইপিও-তে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানির লাভের খবর যেমন প্রকাশ্যে আসে, তেমনই কিন্তু কখনও কখনও আবার আইপিও থেকে সাফল্য না পাওয়ার ঘটনাও শোনা যায়।