সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই সংস্থার স্টকের দর ছিল ৩২০৮.৬০ টাকা। ৫২ সপ্তাহে স্টকের দর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল ৫,২২২০ টাকায়।
সম্প্রতি ওমিক্রন আতঙ্কে ধস নেমেছিল শেয়ার মার্কেটে। কিন্তু তার মাঝেই সুখবর মিলেছে পোকর্ন লিমিটেডের তরফে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই সংস্থার স্টক ভালো পারফর্ম করার দরুণ দারুণ রিটার্ন দিয়েছে গ্রানাইট খনি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং গ্রানাইট স্ল্যাব বিক্রয়কারী সংস্থা৷ অন্যদিকে শেয়ার মার্কেটে বেশ ভালোই ব্যাটিং করছে বিশেষ ধরনের রাসায়নিকের শীর্ষস্থানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা বালাজি অ্যামিনেস। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারে সকাল থেকেই শেয়ার মার্কেটে বালাল অ্যামাইসনের স্টকের দর ছিল বেশ ভালোই। এদিন সকাল থেকে এই সংস্থার স্টকের দর ছিল ৩২০৮.৬০ টাকা। বম্বে স্টেক এক্সচেঞ্জ অনুযায়ী সেনসেক্সে শেয়ার পিছু দর ২.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৮.১০ টাকা। উল্লেখ্য, এর আগে ৫২ সপ্তাহে স্টকের দর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল ৫,২২২০ টাকায়। শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে, বালাজি অ্যামিনেসের স্টকের দরের যে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা সেটার ইঙ্গিত তাঁরা আগেই পেয়েছিলেন। কারন হিসাবে বলেছেন,বালাজি অ্যামিনেস গত বছর তার শেয়ার হোল্ডারদের ২৫৪,৮৭ শতাংশ হারে রিটার্ন দিয়েছে। বুধবার এই সংস্থার স্টক ক্লোজ হয়েছিল ৩১৩০.৫ টকায়। ঠিক ১ বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর স্টক বন্ধ হয়েছিল ৮৮২.১৫ টাকায়। এই রকম পরিস্থিতিতে এই সংস্থার উত্থানকে যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছরের তুলনায় বিনিয়োগকারীদের সম্পদের পরিমানও প্রায় ৩ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংস্থাটি ভারতে মেথাইলামাইন, ইলিথামাইন এবং বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুত করে সেটিকে বিক্রি ও রপ্তানি করে।
গত বছরের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে সংস্থার বিক্রির পরিমান অনেকটাই বেড়েছে। গত বছরে যেখানে সংস্থার মোট বিক্রির পরিমান ছিল ২৮২.৩৮ কোটি টাকা সেখানে চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে মোট বিক্রির পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫২৫.৭৩ কটি টাকা। কোম্পানিক ম্যানেজমেন্ট আগামী দিনে এই ব্যাবসার ভলিউম আরও ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হবে মনে করছেন। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের আর্থিক বছরে ১৮০০ থেকে ১৮৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের আশা করছে বালাজি অ্যামিনেস।
আরও পড়ুন-২৪ ডিসেম্বর থেকে বড়দিনের ছুটি স্টক মার্কেটে, অন্যদিকে ২৩ ডিসেম্বর থেকেই বন্ধ বন্ড মার্কেট
আগামী ২০২৫ সালের মদ্যে বিশ্বব্যাপি এই রাসায়নির দ্রব্য প্রস্তুতকারক সংস্থা বালাজি অ্যামাইসন ৩.৬ শতাংশ CAGR-এ বৃদ্ধি পেয়ে ২০.৮ মার্কিন বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করছে এই সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমানে বালাজি অ্যামাইসনের স্টক মার্কেটে যে পরিস্থিতি সেই দিকে তাকিয়ে আগামী ২০২৫ সালে সংস্থা যে স্বপ্ন দেখছে তা পূরণ হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। শিল্পায়ন ক্রমশ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে উদপাদন চাহিদাও। তাই আগামী বছর গুলোতেও এই সংস্থার উৎপাদনের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন শেয়ার মার্কেট বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও ভারতীয় রাসায়নিক সংস্থাগুলো যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থাতেই রয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে সেয়ার মার্কেটে বালাজি অ্যামাইসন যতটা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছে আগামী দিনেও এই সংস্থার সেই রাজকীয় মেজজ বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।