সংক্ষিপ্ত
আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়া আর ইউক্রেনের চাপানৌত্তর পরিস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা দুনিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেনের সংকটময় পরিস্থিতির পারদ যেভাবে চড়ছে তাতে সেই সংকটের ছায়া পড়তে পারে বিয়ার কোম্পানিগুলির ওপর । রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের জেরে বিয়ার নির্মাতাদের লাভের মার্জিন কমাতে পারে।
আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়া আর ইউক্রেনের চাপানৌত্তর পরিস্থিতিতে (Russia-Ukraine Conflict)সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা দুনিয়া। যুদ্ধের দামামা একপ্রকার বেজে গেছে বলা চলে। রাশিয়া-ইউক্রেনের সংকটময় পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার একদিনে দুবার খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বিরাট ধস নেমেছে শেয়ার মার্কেটে (Share Market)। একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের জেরে যেমন মাথায় হাত শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের, তেমনই চিন্তিত বিয়ার কোম্পানিগুলো। বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংকটময় পরিস্থিতির পারদ যেভাবে চড়ছে তাতে সেই সংকটের ছায়া পড়তে পারে বিয়ার কোম্পানিগুলির (Beer Company) উপরে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কারনেই ভারতের বিয়ার কোম্পানিগুলোর (Beer Company) মধ্যেও একটা আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শীত তো বটেই, গরমেও ভারতে প্রচুর পরিমাণে বিয়ার বিক্রি হয়। তাই এই মরশুম কোম্পানিগুলি বড়সড় লাভের মুখ দেখে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যে চলমান উত্তজনা জারি রয়েছে, আর দিনে দিনে ক্রমশ সেটি প্রকট হচ্ছে সেই বিষয়টি যথেষ্ট ভাবাচ্ছে ভারতের বিয়ার কোম্পানিগুলোকে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়েছে অপরিশোধিত তেলের দামের ওপর। ২৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক পদক্ষেপের ঘোষণার পর অপরিশোধিত তেলের দামে যেন আগুন লেগেছে। বিশ্বজুড়ে পেট্রোল ও ডিজেলের হারে রেকর্ড ভাঙা বৃদ্ধি।
কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যালকোহলিক বেভারেজ কোম্পানিজ (Confederation of Indian Alcoholic Beverage Companies)বা CIABC-এর ডিরেক্টর জেনারেল বিনোদ গিরিও এই সংকট নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, এই কঠিন পরিস্থিতির ওপর তাঁরা নজর রাখছেন। ভারতের মদ প্রস্তুতকারকদের এই বিষয়টি কীভাবে প্রভাবিত করবে সেটা বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই সংকটজনক পরিস্থিতি যদি আগামী দিনেও জারি থাকে তাহলে সেটি বেশ চিন্তার বিষয়। প্রসঙ্গত, বিয়ার তৈরিতে বার্লি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আবার প্রচুর পরিমাণে গমও ব্যবহার করা হয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিয়ার কোম্পানিগুলি ভাবছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে এই রকম উত্তেজনা চলতে থাকলে বা পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে বার্লি ও গম রফতানি হওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। যার জেরে বিপদের ঘণ্টা বাজতে পারে বিয়ার কোম্পানিগুলির।
যে সমস্ত মদ নির্মাতারা স্থানীয় ভাবে বার্লি কিনে মদ তৈরি করেন তাঁদেরও খরচ বাড়তে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ রাশিয়া ও ইউক্রেন বার্লি রফতানি কমালে তার প্রভাব এসে পড়বে ভারতেও। ফলে দেশীয় নির্মাতাদেরও খরচও অনেকটা বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের জেরে বিয়ার নির্মাতাদের লাভের মার্জিন কমাতে পারে। ইতিমধ্যেই যবের মতো শস্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে বার্লির দাম বৃদ্ধিরও। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির জেরে আগামী দিনে বিয়ারের দাম বাড়তে পারে কীনা সেটাই এখন উঠে এসেছে প্রশ্নচিহ্নের মুখে।