সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মীবারে শেয়ার মার্কেটের লক্ষ্মীলাভ তো হচ্ছেই না, উল্টে শুধু স্টক মার্কেটে ধস নামার খবর উঠে আসছে সংবাদের শিরোনামে। রাশিয়া-ইউক্রেনের চোড়াগুপ্তা যুদ্ধের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বারংবার ধস নামছে শেয়ার মার্কেটে। বলা বাহুল্য, বৃহস্পতিবার বেশ অল্প সময়ের ব্যবধানেই দুবার পতন ঘটল শেয়ার মার্কেটের সূচকগুলোর।

বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মীবারে শেয়ার মার্কেটের (Share Market) লক্ষ্মীলাভ তো হচ্ছেই না, উল্টে শুধু স্টক মার্কেটে ধস নামার খবর উঠে আসছে সংবাদের শিরোনামে। সৌজন্যে  রাশিয়া-ইউক্রেনের চোড়াগুপ্তা যুদ্ধের (Russia-Ukraine Crisis) জের। বৃহস্পতিবার সকালেই বিশ্বের স্টক মার্কেটে (Stock Market) বিরাট ধস নেমেছে। তারপর কিছু সময় পাড় হতেই ফের পতনের দিকে শেয়ার মার্কেটের গ্রাফ (Share market Graph Down Again)। ২০৩৩ পয়েন্টে সেনসেক্স (Sensex) নেমে এখন ট্রেড করছে ৫৫,১৯৮-এ। অন্যদিকে সূচক পড়েছে নিফটিরও (Nifty)। ৬০১.৪৫ পয়েন্টে নেমেছে নিফটির সূচক। আর সূচকের পতনের পর এখন ১৬,৪৬১.৮০ -তে ট্রেড করছে নিফটি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা বাজার ফলে শেয়ার মার্কেটে যেভাবে ধস নামতে শুরু করেছে তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের (Share Market Investors)। বলা বাহুল্য, বৃহস্পতিবার বেশ অল্প সময়ের ব্যবধানেই দুবার পতন ঘটল শেয়ার মার্কেটের সূচকের (Share Market Down Due To Russia-Ukraine Conflict)। 

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনে একটি বিশেষ সামরিক অভিযানের (Special Military Operation) কথা ঘোষণা করার সাথে সাথে, ইক্যুইটি সূচকগুলি (equity Points) সংকটজনক পরিস্থিতিতে চলে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেনসেক্স (Sensex) পড়েছিল ১৪৩২.৫০ পয়েন্ট এবং নিফটি (Nifty) নেমেছিল ৪১০.৭০ পয়েন্টে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ইউক্রেন সংকট আর তারই জেরেই একেবারে জেরবার বিশ্বের স্টক এক্সচেঞ্জগুলি (World Stock Exchange)। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (Thursday) সকাল ৯ বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ৩০ স্ক্রিপ সেনসেক্সে ১৪৩২.৫০ পয়েন্ট পতন ঘটেছিল বা ২.৫০ শতাংশ কমে ৫৫,৭৯৯.৫৬-তে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ন্যাশনাল স্টক এক্সটেঞ্জে ৫০ স্ক্রিপ্ট নিফটি ৪১০.৭০ পয়েন্ট বা ২.৪১ শতাংশ কমে ১৬৬৫২.৬০-তে ট্রেড করছিল।

একটি জরুরি ভাষণে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, দেশকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর মুদ্রানীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে যুদ্ধের উত্তেজনাও। যা স্টক এক্সচেঞ্জের অস্থিরতা আগামী দিনে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক ও স্থায়ী আয় কৌশলের প্রধান সু লিং রয়েচার্সকে বলেছেন, বিশ্বপ্যাপী ডেটা ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কঠোরতার অবস্থান সবকিছুই ইউক্রেনের দিকে চেয়ে অপেক্ষা করেছে। শেয়ার বাজার রীতিমত অস্থির। আগামী দিয়ে আরও পতনের আশঙ্কার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। অন্যদিকে মার্কিন ছুটির কারণ সেই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।