সংক্ষিপ্ত
একজন সামান্য ফেরিওয়ালা কিভাবে লটারি জিতে কোটিপতি হয়ে যেতে পারে তার জ্বলজ্যান্ত নিদর্শন শেখ এহেশন। মাত্র ৩০ টাকার লটারি কেটে কোটিপতি হয়েছেন দুবরাজপুরের ইসলামপুর আশরাফিপাড়ার বাসিন্দা শেখ এহসান। পুরো ১ কোটির বাজিমাত শেখ এহেশানের।
কেউ মনে করেন, লটারির টিকিট(Lottery Ticket) কাটা মানে একগাদা টাকা বেকার নষ্ট, আবার কারোর কারোর মতে, লটারির টিকিট (Lottery Ticket) কেনা শুধু একটা নেশা মাত্র। তবে ভিন্ন মত নির্বিশেষে যার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার সেটা কিন্তু ঠিকই হয়। ঠিক যেমনটা হয়েছে বীরভূমের বাসিন্দা শেখ এহেশানের(Sekh Ahesan from Birbhum) সঙ্গে। একজন সামান্য ফেরিওয়ালা কিভাবে লটারি জিতে কোটিপতি হয়ে যেতে পারে(Hawker to Crorpati) তার জ্বলজ্যান্ত নিদর্শন শেখ এহেশন। মাত্র ৩০ টাকার লটারি(30 Rupees Lottery Ticket) কেটে ১ কোটির বাজিমাত করেছেন দুবরাজপুরের ইসলামপুর আশরাফিপাড়ার বাসিন্দা শেখ এহসান। পুরো ১ কোটি টাকা জিতে(Won 1 Cr) নিয়েছেন শেখ এহেশান। মাটির বাড়িতে বসবাস করেন। তাও আবার পুরসভার দেওয়া ত্রিপল খাটিয়ে থাকেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
সত্যি, ভাগ্যের চাকা কখন কার ফেরে, কারোর পক্ষেই আগের থেকে জানা সম্ভব নয়৷ মা, বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন শেখ এহেশান। এই লটারি জেতা তাঁর কাছে জ্যাকপট পাওয়ার থেকে কোনও অংশে কম কিছু নয় তা কিন্তু বলার অবকাশ রাখে না। লটারি জেতার পর শেখ এহেশান জানান, তিনি ফেরিওয়ালার(Howker) কাজ করেন। রোজগার বলতে প্রতিদিন ২০০ টাকা। সেই টাকা থেকেই রোজ ৬০ টাকার লটারির টিকট কিনতেন তিনি। যদি কোনও মিরাকেল কিছু হয় সেই আসাতেই রোজ বুক বাঁধতেন এহেশান। কিন্তু একদিন সকালে ৩০ টাকার লটারি কাটলেন। আর সেদিন দুপুরে লটারির রেজাল্ট বেড়োতেই ত্রিপল টাঙানো সেই ঘরটাই নেমে এল এক অমলিন আনন্দের বারিধারা। সব মিলিয়ে শেখ এহেশান(Sekh Ahesan) লটারি জেতার খুশিতে পরিবারকে আনন্দ দিতে পেরে একেবারে আপ্লুত।
Lottery Winner-চায়ের দোকানি থেকে রাতারাতি কোটিপতি, স্বপ্নের মত গল্প মুর্শিদাবাদে
লটারি জেতার এই ১ কোটি টাকা দিয়ে নিজের সন্তানদের লেখাপড়া করাবেন এহেশান। সেই সঙ্গে এহসানের বাবা শেখ জাফর আলি জানান, তিনিও ফেরি বৃত্তি করেই সংসার চালান। তাই ছেলেও সেই একই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। তাই ছেলের লটারি জেতার খবরে এখন পুরো পরিবারে বইছে খুশির হাওয়া। অন্যাদিকে এহসানের মা নুরেমা বিবিও নিজেদের সংসারের দৈন দুর্দশার কথাই বলেন। দিন আনা দিন খাওয়া, এইভাবেই সংসার চলে। মাথার ওপর ছাদ বলতে শুধু এক চিলতে এই মাটির ঘরখানা। অভাবের তারনায় ছেলেদের পড়াশুনা না করাতে পারার সেই যন্ত্রনার কথাও বলেন তিনি। লটারি জেতার টাকা দিয়ে একটা বাড়ি বানানোর স্বপ্ন দেখছেন নুরেমা বিবি।