সংক্ষিপ্ত
-৫০ হাজার থেকে ১.৫ লাখ টাকার বিনিময়ে শুরু করুন পোলট্রি ফার্মিং-র ব্যবসা। এর জন্য প্রয়োজন ১৫০০ মুরগী। তারপরই খুলে যাবে আপনার আয়ের পথ। প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ আয়ের সুযোগ রয়েছে এই পোলট্রি ফার্মিং-র ব্যবসায়।
ভিন্নস্বাদের ব্যবসা করে মোটা টাকা আয়ের সুযোগ খোঁজেন অনেকেই। কি ধরনের ব্যবসা করলে মাসে ভালো টাকা রোজগার হবে সেই বিষয়ে অনেকই আইডিয়া চেয়ে থাকেন। আপনি কি কম পুঁজিতে স্টার্টআপ বিজনেস চালু করার প্ল্যানিং করছেন,যদি এগ্রিকালচারের ব্যবসায় লাক ট্রাই করতে চান তাহলে আপনার প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত পোলট্রি ফার্মিং। মাত্র ৫০ হাজার থেকে ১.৫ লাখ টাকার বিনিময়ে শুরু করে ফেলুন আপনার নতুন ব্যবসা। প্রথমে ছোট করে পোলট্রি ফার্মিং-র ব্যবসা করতে প্রয়োজন ১৫০০ মুরগী। তারপরই খুলে যাবে আপনার আয়ের পথ। প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ আয়ের সুযোগ রয়েছে এই পোলট্রি ফার্মিং-র ব্যবসায়। আপনি যদি প্রথমেই বড় করে আপনার ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ময়দানে নামতে লাগবে ১.৫ লাখ থেকে ৩.৫ লাখ টাকা। পোলট্রি ফার্মিং-র ব্যবসা শুরু করার জন্য লোন পেতেও অসুবিধা হবে না।
পোলট্রি ফার্মিং-র ব্যবসা শুরুর জন্য বিজনেস লোনের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সাবসিটি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এসসি বা এসটি ক্যাটাগরির জন্য সেই পরিমান বেড়ে হয়ে যায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। বাকি টাকা নিজেকে বিনিয়োগ করতে হয় বা ব্যাঙ্ক ললোন মারফত নিতে হয়। পোলট্রি ফার্মিং-র মতো ব্যবসায় লাভ করতে গেলে প্রথমে মাথায় রাখতে হবে ১৫০০ মরগী নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত মুরগী কিনে রাখতে হবে। বিভিন্ন কারনে অনেক মুরগী মরে যায় তাই ১০ টা মতো বেশি মুরগী স্টকে রাখা প্রয়োজন।
Whatsapp closes Account-নিয়ম না মানার শাস্তি, সেপ্টেম্বরেই বন্ধ হয়েছে ২২ লাখ ভারতীয়ের অ্যাকাউন্ট
Dhanteras Gold Just 1/- ধনতেরাস মহাধামাকা অফার, মাত্র ১ টাকায় সোনা কেনার সুযোগ
মুরগীর ডিম থেকে পোলট্রি ফার্মিং-র আয়ের পথ সুগম হয়। আমাদের দেশে প্রায় প্রতিনিয়তই বাড়তে থাকে মুরগীর দাম। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শুরুতেই ডিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই ডিমের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবান হয়ে ওঠে মুরগীও। পোলট্রি ফার্মিং ব্যবসার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল, বিভিন্ন ধরনের খাবার দিতে হবে। সেই সঙ্গে দরকার প্রয়োজনীয় ওষুধও।
প্রথম ২০ সপ্তাহে মুরগীর খাবারের জন্য খরচ হয়ে থাকে প্রায় ১ লাখ থেকে ১.৫ লাখ। এক বছরে একটি মুরগীর ডিম দেওয়ার ক্ষমতা ৩০০ টি। ২০ সপ্তাহ পরে ডিম দেওয়ার পর ডিমে তা দেওয়ার ক্ষমতাও তৈরি হয়ে যায় একটি মুরগীর। ২০ সপ্তাহ পর মুরগীর খাওয়াদাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবাদ প্রয়োজন প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে হিসাব করলে দেখা যায়, ১ টা মুরগী যদি বছরে ৩০০ টি ডিম দেয় তাহলে ১৫০০ মুরগী থেকে ডিম পাওয়া যাবে মোট ৪,৩৫,০০০ টি। স্বাভাবিকভাবেই কিছু ডিম নষ্ট হয়, তারপরও প্রায় ৪ লাখ ডিম বিক্রি করার সুযোগ থাকে। ৬ টাকা হোলসেল দামে বিক্রি করলেই বছরে শুধু ডিম থেকেই মোটা অঙ্কের টাকা লাভের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যাবেন।