সংক্ষিপ্ত

বাজেট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেন এই বাজেটে বৈষম্যে মেটানোর কোনও কথা বলা হয়নি। বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে দেশের বিপুল মানুষের সঙ্গে।

 

২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে এটাই ছিল দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই এই বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের যেমন প্রত্যাশা ছিল, তেমনই তীক্ষ্ণ নজর ছিল দেশের রাজনীতিবিদদের। বাজেট নিয়ে বুধবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। তিনি বলেন এই বাজেটে দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সরকার জনগণের কাছ থেকে কতটা দূরে সরে গেছে তারই প্রতিফলন চলতি অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে। তিনি আরও বলেন, জীবন, জীবিকা, ধনী-দরিদ্রের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বাজেট কৌতুকপূর্ণ। কারণ অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় কোথাও বেকারত্ব, ও অসমতা বা সমতা এজাতীয় শব্দ উল্লেখ করেননি। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে মাত্র দুই বার দরিদ্র্য শব্দটি উল্লেখ করেছেন। গোটা দেশের মানুষকেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি উদ্বেগের মধ্যে রেখেছে।

চিদাম্বরম আরও বলেছেন,কেন্দ্রীয় বাজেটে যে আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তার সুবিধে খুবই অল্প সংখ্যক মানুষ পাবেন। তিনি আরও পরোক্ষ কর কমানো হয়নি। জিএসটি-তেও কোনও কাটছাঁট করা হয়নি। পেট্রোল, ডিজেল, সিমেন্ট, সার ইত্যাদির দামে কোনও হ্রাস নেই। অসংখ্য সারচার্জ এবং সেসে কোনও কাটছাঁট নেই । যাইহোক, রাজ্য সরকারগুলির সাঙ্গে ভাগ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চিদম্বরমের প্রশ্ন, এই বাজেটে কারা উপকৃত হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেছেন, দরিদ্র, চাকরীপ্রার্থী, করদাতা কেউই উপকৃত হয়নি এই কেন্দ্রীয় বাজেটে। যারা কাজ হারাচ্ছে তাদের জন্য কোনও বার্তা নেই বাজেটে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে দেশের মোট সম্পদের বেশিরভাগটাও এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে। তাই বৈষম্য ক্রমাগত বাড়ছে। তিনি আরও বলেছেন এই বাজেটে কোনও আর্থিক নিরাপত্তা নেই। তাই এই বাজেটে দেশের একটা বড় অংশের মানুষের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।

এদিন ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আয়কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন এই বাজেট মধ্যবিত্তের কাছে স্বস্তি দায়ক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর আরও বলেন অমৃতকালের এটাই প্রথম বাজেট। তবে নির্মলার এই বাজেটই যে বিজেপির ভোট প্রচারের হাতিয়ার তা আগেই দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বাজেট নিয়ে ১২ দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাজেট নিয়ে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। আর যে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই সেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বা বিজেপির রাজ্যের নেতারাই বাজেট নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। দলের পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

Home Ministry Budget 2023: নির্মলার বাজেটে স্বস্তিতে অমিত শাহ, প্রচুর বরাদ্দ অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা খাতে

Budget Highlight: আরও শক্তি বাড়ছে CBI-র? নির্মলার বাজেটে বরাদ্দ আরও বাড়ল কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর

Budget 2023: দাম বাড়ছে গয়না-গাড়ির, দাম কমছে সাইকেল-সহ অনেক জিনিসের- রইল পুরো তালিকা