- Home
- Business News
- Other Business
- IT কর্মীর থেকেও দ্বিগুণ বেতন হবে কেন্দ্রীয় সরকারি পিওনের! পে কমিশন খুলে দেবে নয়া দিগন্ত?
IT কর্মীর থেকেও দ্বিগুণ বেতন হবে কেন্দ্রীয় সরকারি পিওনের! পে কমিশন খুলে দেবে নয়া দিগন্ত?
- FB
- TW
- Linkdin
কিন্তু অষ্টম বেতন কমিশন (8th pay commission) চালু হলে তাদের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বেতনের পার্থক্য ঠিক কতটা হবে?
তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তুমুল জল্পনা।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
তাদের মতে, অষ্টম বেতন কমিশন (8th pay commission latest news) চালু হলে চাকরিজীবনের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারি একজন পিওন নামী যে কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার একজন কর্মীর তুলনায় অনেক বেশি বেতন পাবেন।
কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির ন্যূনতম মূল বেতন বা বেসিক পে ৫০ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে
অষ্টম বেতন কমিশনে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা আর্থিক দিক থেকে আদৌ কতটা লাভবান হবেন, গত বছরের নভেম্বর মাসেই তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির সচিব শিবগোপাল মিশ্র। সেই প্রসঙ্গে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বৃদ্ধির কথাও বলেন তিনি।
সূত্রের খবর, অষ্টম বেতন কমিশনে ২৯ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেতে পারে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর
বিশেষজ্ঞদের মতে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রতি মাসের ন্যূনতম মূল বেতন বেড়ে দাঁড়াবে ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা। (8th pay commission fitment factor)
ওদিকে আবার তার সঙ্গে যুক্ত হবে মহার্ঘ ভাতা, অর্থাৎ ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স বা ডিএ এবং হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স
এছাড়াও আনুষঙ্গিক আরও বেশ কিছু আর্থিক সুযোগ-সুবিধাও থাকবে। (8th pay commission pay matrix)
তাহলে বিষয়টা ঠিক কিরকম দাঁড়াচ্ছে?
ফলে, এক জন চতুর্থ শ্রেণির অর্থাৎ গ্রুপ-ডি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীর ন্যূনতম বেতন ৬০ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা কী?
অষ্টম বেতন কমিশনের ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মূল বেতন ১৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যদিকে, বেতনের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্তদের পেনশনও বাড়বে বলে জানা গেছে
বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম পেনশন ধার্য করা হয়েছে ৯০০০ টাকা। তবে তা বেড়ে গিয়ে ন্যূনতম পেনশন ২৫,৭৪০ টাকায় গিয়ে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি বিষয়ের আলোকপাত করেছেন
বেতন কমিশন চালু হওয়ার পর, সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীদের আয়ের পার্থক্য এতটা বেড়ে গেলে সামাজিক ভাবে আবার অন্য সমস্যা দেখা দেবে। আর তার জেরে, আগামীদিনে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে ঝোঁক বৃদ্ধিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া বেতন পার্থক্য মুদ্রাস্ফীতির হারেও প্রভাব ফেলতে পারে
যদিও সাম্প্রতিক অতীতে কর্মচারীর সংখ্যা বেশ কমিয়েছে কেন্দ্র। গত ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরে ১.১৯ লক্ষ স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তারপরের আর্থিক বছরেই সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৮৭ হাজার ৪২৩ জন।
সেই সূচক এখনও নিম্নমুখী রয়েছে
স্বাভাবিকভাবেই, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির ঝোঁক বৃদ্ধি পেলে সেখানে প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হবে দেশের যুব সমাজকে। এমনিতেই তারা প্রতিযোগিতার মধ্যেই আছে।
এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের একটি তথ্য ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ
সেখানে বলা হয়েছে, এই দেশের নাগরিকরা বছরে গড়ে ১.৮ লক্ষ টাকা করে আয় করেন।
আর তাদের মাসিক গড় বেতন ১৫-২০ হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে
আর্থিক দিক দিয়ে দেখতে গেলে, উন্নত দেশগুলির তুলনায় এই পরিমাণ অনেকটাই কম।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে হেরফের দেখা যেতে পারে
অষ্টম বেতন কমিশন চালু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারি এবং বেসরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বেতনের ফারাক অনেকটা বেড়ে গেলে, তার তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ঘরোয়া বাজারে। সেক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে হেরফের দেখা যেতে পারে। তাছাড়া বেশি বেতনের আশায় অনেকেই হয়ত বিদেশে গিয়ে চাকরি করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাহলে ‘ব্রেন ড্রেন’ সমস্যার মুখে পড়তে পারে ভারত, সেই কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।