সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্র সরকার ২০২৫ সালের বাজেটে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্রের মতে, কর্মীদের পেনশন গণনার বর্তমান সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করার জন্য একটি প্রস্তাব প্রস্তুত রয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারী ভবিষ্য তহবিল প্রকল্প (EPFO)র অধীনে নূন্যতম মজুরি সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল। কেন্দ্রীয় ভবিষ্য তহবিল প্রকল্পে নূন্যতম মজুরি সীমা (Minimum Wages Act) বাড়ানো হচ্ছে ২০২৫ সাল থেকেই। বর্তমানে এই প্রকল্পের সীমা ১৫০০০ টাকা। আগামী বছর এই প্রকল্পের টাকা ২১ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

কেন্দ্র সরকার ২০২৫ সালের বাজেটে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্রের মতে, কর্মীদের পেনশন গণনার বর্তমান সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করার জন্য একটি প্রস্তাব প্রস্তুত রয়েছে। এই সীমা ২০১৪ সাল থেকে বলবৎ ছিল, কিন্তু পরিবর্তনশীল সময় এবং মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে এটি সংশোধন করার প্রয়োজন ইতিমধ্যেই অনুভূত হয়েছে। এই প্রস্তাব পাস হলে বেসরকারি চাকরিজীবীরা শুধু ভালো পেনশন পাবেন না, তাঁদের আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হবে।

EPFO-তে পেনশন সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি পেনশনের সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২১ হাজার টাকা হয়, তাহলে প্রতি মাসে প্রায় ২৫৫০ টাকার অতিরিক্ত পেনশন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাইহোক, এর অর্থ এই যে কর্মীদের মাসিক বেতন সামান্য কাটা হতে পারে, কারণ তাঁদের বেতন EPFO-তে আরও অবদান রাখবে।

এই হ্রাস স্বল্পমেয়াদী হবে, তবে এর দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের সময় দেখা যাবে। এই পরিবর্তনটি সেই সমস্ত কর্মচারীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী প্রমাণিত হবে যারা ভবিষ্যতে আর্থিক নিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করতে পারেন।

২০২৫ সালের নতুন বছরের শুরু বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য প্রত্যাশার একটি নতুন রাউন্ড নিয়ে আসতে চলেছে। বেতন বৃদ্ধি এবং EPFO-এর অধীনে পেনশন গণনার পরিবর্তন ইঙ্গিত দেয় যে সরকার এবার বেসরকারী কর্মচারীদের সমস্যার দিকে মনোনিবেশ করতে পারে। মূল্যস্ফীতি ও সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বেসরকারি খাতের কর্মচারীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন। তবে এবার এদিক দিয়ে স্বস্তি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।

মজুরি নির্ধারণ

যদি মজুরি সীমা বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করা হয় তালে কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের তহবিলের জন্য আরও টাকা কাটা হবে। এর পাশাপাশি কর্মীদের পেনশন স্কিমেও টাকা বাড়ান যাবে। বর্তমানে, EPF তহবিলের ১২ শতাংশের মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে জমা হয় এবং বাকি ৩.৬৭ শতাংশ EPF অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা আরো বাড়াবে। ২১,০০০ টাকার মজুরি সীমা বাড়ানোর ফলে কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে আরও টাকা জমা হবে, যা তাদের ভবিষ্যতকে আরও সুরক্ষিত করবে। এই কারণে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন দেশজুড়ে কর্মীরা।

বর্তমান মজুরি

বর্তমানে EPFOর অধীনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কর্মীদের নূন্যতম মজুরি সীমা ১৫০০০ টাকা। ২০১৪ সালে এই প্রকল্পের সীমা সর্বশেষ বাড়িয়ে ৬৫০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা করেছে। তারপর থেকে এই প্রকল্পের সীমাতে আর কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। প্রায় এক দশক পরে এই প্রকল্পের সীমা বাড়ানো হতে পারে।

নূন্যতম মজুরি বাড়ার কারণ

কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা নীতির আওতায় কর্মীদের ভবিষ্যতের তহবিল তথা প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পেনশন স্কিমে অবদান বা়ড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিতে পারে। সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের নূন্যতম বেতনের সীমা বাড়ানো হলে অধিক সংখ্যাক কর্মী এই সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমা বাড়বে।