সংক্ষিপ্ত
এপ্রিল মাসে GST সংগ্রহ বার্ষিক ১২ শতাংশ বেড়ে ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। যা সর্বকালের মাসিক সর্বোচ্চ হার। সোমবার অর্থমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্যে তেমনই দাবি করা হয়েছে।
২০২৩ সালের রেকর্ড জিএসটি (GST) সংগ্রহ হয়েছে। এপ্রিল মাসে GST সংগ্রহ বার্ষিক ১২ শতাংশ বেড়ে ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। যা সর্বকালের মাসিক সর্বোচ্চ হার। সোমবার অর্থমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্যে তেমনই দাবি করা হয়েছে। পূর্ববর্তী মাসিক উচ্চ পণ্য ও পরিষেবা কর বা GST সংগ্রহ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ছিল ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা। জিএসটি সংগ্রহের এই রেকর্ডকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন, ভারতীয় অর্থনীতির জন্য দারুণ খবর! কম করের হার সত্ত্বেও কর সংগ্রহ বৃদ্ধি দেখিয়ে দেয় GST কীভাবে একীকরণ ও সম্মতি বাড়ছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সংগৃহীত মোট GST রাজস্ব হল ১.৮৭.০৩৫ কোটি টাকা। যারমধ্যে CGST হল ৩৮.৪৪০ কোটি টাকা, SGST হল ৪৭৪১২ কোটি টাকা, IGST হল ৮৯.১৫৮ কোটি টাকা। এই তথ্যই দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। চলতি বছর এপ্রিল মাসে যে রাজস্ব সংগৃহীত হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। আগামী বছর এই ক্ষেত্রগুলিতে থেকে ১৬ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় করা হবে বলেও মনে করছে অর্থমন্ত্রক।
২০ এপ্রিল ২০২৩, এক দিনে সর্বোচ্চ কর সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেদিন ৯.৮ শংতাশ লেনদেনের মাধ্যমে৬৮ কোটিরও বেশি টাকা কর হিসেবে আদায় করা হয়েছে। গত বছর একই তারিখে এক দিনের পেমেন্ট ছিল ৯.৬ লক্ষ টাকা। আর লেনদেনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছিল ৫৭,৮৪৬ কোটি টাকা। মন্ত্রক আরও বলেছে যে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৈরি হওয়া ৮.১ কোটি ই-ওয়ে বিলের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে। এপ্রিল মাসে সরকার সিজিএসটি থেকে ৪৫,৮৬৪ কোটি টাকা ও আইজিএসটির থেকে ৩৭.৯৫৯ কোটি টাকা এসজিএসটিতে দিয়েছিল।
নিয়মিত নিষ্পত্তির পরে ২০২৩ সালের এপ্রিলে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মোট রাজস্ব CGST-এর জন্য ৮৪৩০৪ কোটি টাকা এবং SGST-এর জন্য ৮৫৩৭১ কোটি টাকা। জিএসটি সংখ্যার বিষয়ে মন্তব্য করে, অ্যাসোচ্যামের সভাপতি অজয় সিং বলেছেন যে এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একটি দুর্দান্ত সূচনা। তিনি আরও বলেছেন জিএসটির এই সংগ্রহ ভারতীয় অর্থনীতি যে শক্তিশালী হচ্ছে তার ইঙ্গিত দেয়। ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে - যা অর্থনীতির ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ বলেও দাবি করেন তিনি।
গৌতম মহান্তি, বিজনেস হেড, আইআরআইএস ট্যাক্স টেক বলেছেন যে রেকর্ড-ব্রেকিং জিএসটি সংগ্রহ ই-ইনভয়েসিংয়ের ইতিবাচক প্রভাবের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত এবং ভারতের সমৃদ্ধিশীল অর্থনীতির সাথে মিলিত সম্মতি প্রবিধানগুলিকে শক্তিশালী করেছে৷
"প্রত্যাশিত হিসাবে, ২০২২ সালের এপ্রিলে পূর্ববর্তী বছরের থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৈরি হওয়া ই-ওয়ে বিলের বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের থেকে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধির সাক্ষী ছিল," তিনি বলেছিলেন।
চিফ ইকোনমিস্ট, ICRA লিমিটেডের অদিতি নাইয়ার বলেছেন GST সংগ্রহগুলি ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ১২ শতাংশ সম্প্রসারণের সাথে একটি শক্তিশালী বছরের শেষ বৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, যা মার্চ ২০২৩ সালের লেনদেনের প্রতিনিধিত্ব করে।
"যদিও সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সংগ্রহগুলি একটি সুস্থ ১১-১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে, একটি স্বাভাবিক ভিত্তি এবং মূল্যস্ফীতির কিছুটা শীতলতা আগামী ত্রৈমাসিকে সম্প্রসারণের গতিকে কিছুটা কমিয়ে আনতে পারে, যদিও এটি উচ্চ একক অঙ্কে থাকবে", এমনটাই একটা আশঙ্কা করছেন তিনি।
পার্টানার ট্যাক্স কানেক্ট অ্যাডভাইজরির বিবেক জালান বলেছেনন,যিনি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ট্যাক্স কনসালটেন্স ফার্মের প্রধান তিনি বলেন, ২০২৩ সালের বাজেটে গত অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে জিএসটি সংগ্রহ ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ ও জিডিপি প্রবৃদ্দি ৬ শতাংশ প্রত্যাশিত হয় ।