সংক্ষিপ্ত

বিশ্বজুড়ে মন্দার ফলে আর্থিক বৃদ্ধির হার যে ২০২৩ সালে কমবে তা জানিয়ে দিল আইএমএফ। তাদের ডবলুইও রিপোর্টে তা পরিষ্কার করেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ২০২৪ সালে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার আবার পূর্ববর্তীস্থানে ফিরবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে আইএমএফ। ইন্টারন্যাশনাল

ভারতের আর্থিক উন্নতি নিয়ে এক আশার আলো সঞ্চার করল ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড বা আইএমএফ। সংস্থার শীর্ষকর্তা গীতা গোপীনাথ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড তাদের ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক গ্রোথ প্রোজেকশন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে, ২০২৩ সালে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির ৩.৪ পারসেন্ট থেকে নেমে এসে ২.৯-এ দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, ২০২৪-এ বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৩.১ শতাংশ ছুঁয়ে যাবে বলেও এক সম্ভাবনার কথা বলেছেন গীতা গোপীনাথ।

ওয়াল্ড ইকনোমিক আউটলুক গ্রোথ প্রোজেকশন রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০২২-এর তুলনায় ২০২৩-এ কম হবে। ২০২২-এ যেখানে আইএমএফ-এর মতে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ, ২০২৩-এ সেখানে তা ৬.১ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ২০২৪ সালে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ভারতের ক্ষেত্রে ৬.৮ শতাংশেই ফের ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা বলেও তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে আইএমএফ।

আইএমএফ-এর রিপোর্টে দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির দেশ বলে যাদের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার-কেই সর্বোচ্চ দেখানো হয়েছে। এমনকী, উন্নত দেশগুলি- যেমন আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন, কানাডা-এদের আর্থিক বৃদ্ধির হার নামমাত্র বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে আইএমএফ। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারের ধারেকাছেও এরা কেউ নেই বলে দেখিয়েছে ওয়াল্ড ইকনোমিক আউটলুক গ্রোথ প্রোজেকশন রিপোর্ট।

ডবলুইও-র রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০২৩ সালে ১.৪ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে তা ১ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা। ইউরো এরিয়াতে এই বৃদ্ধির সম্ভাবনা- জার্মানির ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে ০.১ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ১.৪ শতাংশ। ফ্রান্সের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ২০২৩ সালে ০.৭ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ১.৬ শতাংশ।