সংক্ষিপ্ত
হঠাৎ এখন এমন হচ্ছে অনেকের সঙ্গেই, মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। আপনার একাউন্টে এত টাকা জমা হয়েছে! এই মেসেজ পাওয়ার পর আপমান মনে সন্দেহ হবে কোথা থেকে টাকা এসেছে? কে পাঠিয়েছে? ঠিক এর পরেই আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ খুলে কৌতূহল বশত ক্রেডিট ব্যালেন্স চেক করতে যান তবে মুহূর্তের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্টটি খালি হতে পারে!
সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর জন্য সাইবার প্রতারকরা এমনই নতুন ফাঁদ বের করছে যাকে বলা হচ্ছে 'জাম্পড ডিপোজিট স্ক্যাম'। এই স্ক্যাম্পে প্রতারকরা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা পাঠাচ্ছে। শুধু তারা টাকা দিয়ে 'উইথড্রয়াল আস্ক' পাঠাচ্ছে। পিন দিয়ে অ্যাপটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের টাকা প্রতারকের হাতের মুঠোয় চলে যাচ্ছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে ও পুলিশের ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে টাকা ক্রেডিট প্রতারণা চলছে কয়েক মাস ধরে। এখন এই টাকা পাঠিয়ে এই ঘটনাটি প্রতারণার স্কিমটি নতুন। কারণ এই জাম্পড ডিপোজিট কেলেঙ্কারিতে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে এক থেকে দুই হাজার টাকা পাঠাচ্ছে প্রতারকরা।
অবিলম্বে প্রত্যেকের একটা স্মার্টফোন আছে. বেশিরভাগ মানুষ ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে।আর তাদের নম্বরটি অ্যাকাউন্টটি এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।ওই অল্প টাকা পাঠানোর পর প্রতারকরা 'উইথড্রয়াল আস্ক' পাঠাচ্ছে। একবার গ্রাহকরা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স চেক করার জন্য ক্লিক করলেই তাদের অ্যাপের লিঙ্ক সরাসরি পৌঁছে যাবে প্রতারকের হাতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে এই প্রতারকদের থেকে টাকা বাঁচিয়ে রাখবেন।
এই নতুন ধরনের প্রতারণা কিভাবে এড়ানো যায়?
এই বিষয়ে অশোক কুমার মুখোপাধ্যায়, এসবিআইএসএ-এর প্রাক্তন উপ-প্রধান সচিব বলেছেন, আমার মতে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের কোনও অজানা ব্যক্তির কোনও কলে সাড়া দেওয়া উচিত নয় এবং যাদের কার্ড আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত বিরতিতে তাদের পিন নম্বর পরিবর্তন করতে হবে এবং ব্যাঙ্কেরও বাইরের সংস্থা থেকে কর্মী নেওয়া উচিত নয় , শুধুমাত্র পার্মানেন্ট স্টাফদের মধ্যেই এই কাজের দায়িত্ব থাকা উচিত অস্থায়ী কর্মীদের এসব বিষয়ে কোনও দায় নেই
আমার নাম অশোক কুমার মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন উপ-প্রধান সচিব এসবিআইএসএ, আমার মতে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের কোনও অজানা ব্যক্তির কোনও কলে সাড়া দেওয়া উচিত নয় এবং যাদের কার্ড আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত বিরতিতে তাদের পিন নম্বর পরিবর্তন করতে হবে এবং ব্যাঙ্কের বাইরের সংস্থা থেকে কর্মী নেওয়া উচিত নয় , শুধুমাত্র পার্মানেন্ট স্টাফরা অস্থায়ী কর্মীদের থেকে কর্মী নয় যাদের কোন দায় নেই।
পুলিশ এবং সাইবার বিশেষজ্ঞরাও একমত যে সমস্ত ফিনান্স অ্যাপ আগের অর্ডার আগে এক্সিকিউট করে। তাই যেহেতু ফোনে আগে থেকে প্রতারকরা ইউথড্রল অর্ডার পাঠিয়ে রেখেছে তাই যখনই আপনি টাকা ঢুকেছে বলে অ্যাকাউন্ট চেক করার জন্য অ্যাপের পিন নম্বর দেবেন তখনই টাকা প্রতারকের হাতে পৌঁছে যাবে। তাই এই প্রতারণার থেকে বাঁচতে প্রথমে আপনাকে ভুল পিন নম্বর দিতে হবে ফলে প্রতারকের পাঠানো লিঙ্ক বাতিল হবে। এরপর আপনি সঠিক নম্বর দিয়ে ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতারিত করতে গিয়ে প্রতারকরাই ঠকবে কারণ তাদের পাঠানো টাকা আপনার অ্যাকাউন্টেই থেকে যাবে।