সংক্ষিপ্ত

অখিলেশ মিশ্র টুইট করে জানিয়েছেন, জয়রাম মিশ্র ও পি চিদাম্বরম এই দুটি গ্রাফ দেখুন। ইউপিএ আমলে শুধু লুটপাটই হয়নি। গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাতেও সরকারের অসতর্কতার কারণে করদাতাদের অর্থ অপচয় করা হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেব্দ্র মোদী সম্প্রতি দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপ উদ্বোধন করার সময় বলেছিলেন যে বিজেপির তৃতীয় মেয়াগে ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিন অর্থনীতিক দেশের পরিণত হবে। মোদীর এই বিবৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।বিশেষ করে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক রয়রান রমেশ বলেছিলেন, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে অবির্ভূত হতে বাধ্য। এটি সত্য ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর কে সরকার গঠন করবে তার ওপরও অনেকটা নির্ভর করবে। ব্লুক্রাফ্ট ডিজিটাল ফাউন্ডেশনের সিইও অখিলেশ মিশ্র জয়রাম রমেশের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একের পর এক টুইট করে তিনি ২০০৪ সাল তেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএস সরকারের মেয়াদের দেশের আর্থিক অগ্রগতির ছবি তুলে ধরেছেন।

অখিলেশ মিশ্র টুইট করে জানিয়েছেন, জয়রাম মিশ্র ও পি চিদাম্বরম এই দুটি গ্রাফ দেখুন। ইউপিএ আমলে শুধু লুটপাটই হয়নি। গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাতেও সরকারের অসতর্কতার কারণে করদাতাদের অর্থ অপচয় করা হয়েছে। তারপরেও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়নি এই দেশে।

 

 

এই টুইটের সাথে শেয়ার করা গ্রাফে, ইউপিএ এবং এনডিএ সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতি এবং কর্মসংস্থান পরিস্থিতির একটি তুলনামূলক গবেষণা করা হয়েছে। এটি বলে যে ১৯৯৮ ও ২০০৪ এর মধ্যে গড় মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫ শতাংশ। ২০০৪-১৩ সালের মধ্যে এই পরিমাণে বেড়ে হয়েছিল ৯ শতাংশ। একই ভাবে বেড়েছিল বৈদেশিক ঋণের পরিমাণও। একইভাবে, অখিলেশ মিশ্র আরেকটি টুইট করেছেন, যেখানে তিনি ইউপিএ সরকারের আমলে আরও কিছু পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইউপিএ সরকারের আমলে উত্পাদন বৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশ থেকে ০.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একই জিডিপি বৃদ্ধির প্রবৃদ্ধি ৭.১ থেকে ৪.৭এ নেমে এসেছে। এছাড়াও, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট, যা ২০০৪ সালে ৭.৩৬ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল,২০১৩সালে -৮০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। মিশ্র বলেছেন যে ইউপিএ সরকারের আমলে সামগ্রিক রাজস্ব ঘাটতির হতাশাজনক ব্যবস্থাপনা কারও কাছ থেকে গোপন নয়। আমরা আপনাকে বলি যে অখিলেশ মিশ্র যে সমস্ত পরিসংখ্যান ভাগ করেছেন তা পরিকল্পনা কমিশনের।

তাঁর তৃতীয় টুইটে অখিলেশ মিশ্র কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশকে জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন – যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। প্রমাণ দরকার? ইউপিএ ২০০৪-১৪ এবং এর বিপর্যয়কর রেকর্ড ছাড়া আর দেখার দরকার নেই। এটা স্পষ্ট যে শুধুমাত্র মোদী গ্যারান্টি নিশ্চিত করবে যে ভারত ২০২৯ সালের (তৃতীয় মেয়াদ) আগে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।