সংক্ষিপ্ত
এ বছর কর্মজীবীদের বেতন বৃদ্ধি ভালো হবে বলে দাবি করেছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পেশাদার প্রতিষ্ঠান। বলা হচ্ছে এটিই দেশের সবচেয়ে বড় ও বিস্তারিত সমীক্ষা।
দেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারসাম্যপূর্ণ মূল্যস্ফীতি, সুদের হারে স্থিতিশীলতা এবং ক্রমবর্ধমান শিল্প উৎপাদনের পরিসংখ্যান এর সাক্ষ্য। এমতাবস্থায় দেশের শ্রমিক শ্রেণীও এ অবস্থার সুফল পাবে বলে আশাবাদী। যারা ২০২৪ সালে কাজ করছেন তারা সুখবর পেতে পারেন। এ বছর তাঁরা প্রায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেতে পারেন। তবে এটি গত বছরের ৯ দশমিক ৭ শতাংশের তুলনায় কিছুটা কম।
সর্বোচ্চ বৃদ্ধি হবে উৎপাদন খাতে
এ বছর কর্মজীবীদের বেতন বৃদ্ধি ভালো হবে বলে দাবি করেছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পেশাদার প্রতিষ্ঠান। বলা হচ্ছে এটিই দেশের সবচেয়ে বড় ও বিস্তারিত সমীক্ষা। এতে ৪৫টি সেক্টরের ১৪১৪টি কোম্পানির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। চমকপ্রদ যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা হলো, উৎপাদন খাতে সর্বোচ্চ ১০.১ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশে উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়তে চলেছে। এরপর লাইফ সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি প্রত্যাশিত।
২০২৩ সালে নিঃসরণ হার কমেছে
সমীক্ষার তথ্য দেখায় যে ২০২২ সালের ২১.৪ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ১৮.৭ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে চাকরির বাজারে চাকরির সংখ্যা ভালো। এছাড়া প্রতিযোগিতাও থাকে। অ্যাট্রিশন রেট কমিয়ে কোম্পানিগুলি উপকৃত হয়। তিনি তার সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম। এতে তাদের সক্ষমতা বাড়ে। এর পাশাপাশি তাদের উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়।
কোম্পানিগুলো প্রতিভা ধরে রাখতে চায়
এওন ইন্ডিয়ার চিফ কমার্শিয়াল অফিসার রূপাঙ্ক চৌধুরী বলেন, অর্থনীতির উন্নতির কারণে বিভিন্ন খাত এগিয়ে যাচ্ছে। তার সঙ্গে প্রতিভা ধরে রাখতে চান তিনি। তাই বেতন বৃদ্ধি ভালো হবে বলে পূর্ণাঙ্গ আশা রয়েছে। বিশ্বে মন্দার পরিবেশ থাকলেও ভারতে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। অবকাঠামো ও উৎপাদন শিল্পে উত্থান ঘটবে এবং প্রচুর বিনিয়োগও আসবে। কোম্পানির ডিরেক্টর জং বাহাদুর সিং বলেছেন যে ২০২৩ সালে ত্যাগের হার বেশি ছিল। এখন কোম্পানিগুলো ২০২৪ সালে কর্মীদের ধরে রাখার জন্য তাদের ভালো ইনক্রিমেন্ট দিতে প্রস্তুত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।