সংক্ষিপ্ত

বিপাকে শিল্পপতি অনিল আম্বানি (Anil Ambani)। প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। সেইসঙ্গে, রিল্যায়েন্স হোম ফিনান্সের প্রাক্তন এই কর্তাকে ২৫ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

বিপাকে শিল্পপতি অনিল আম্বানি। প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। সেইসঙ্গে, রিল্যায়েন্স হোম ফিনান্সের প্রাক্তন এই কর্তাকে ২৫ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

সেবির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, রিল্যায়েন্স হোম ফিনান্সের কয়েকজন শীর্ষ কর্তা, অনিল আম্বানি এবং অন্য ২৪টি সংস্থাকে সরকারি নিয়ম না মেনে প্রতারণার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। তাই আগামী পাঁচ বছর সিকিউরিটিজ মার্কেটের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি।

একইসঙ্গে সেবির (SEBI) তালিকাভুক্ত কোনও পাবলিক কোম্পানির কোনও পদেই থাকতে পারবেন না অনিল আম্বানি। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনিল সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে রিল্যায়েন্স হোম ফিনান্স সংস্থার তহবিল থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এরপরই তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ঠিক ঐ সময়েই অন্তর্বর্তী নির্দেশে সেবি জানায় যে, “যতদিন না পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার তালিকাভুক্ত কোনও পাবলিক কোম্পানির পদেই থাকতে পারবেন না অনিল। তাঁকে ডিরেক্টর এবং প্রোমোটর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

আর এবার চূড়ান্ত নির্দেশেও সেবি জানাল যে, কোনও সংস্থার কোনও পদেই এবার আর থাকতে পারবেন না মুকেশ আম্বানির ভাই। প্রসঙ্গত, একটাসময় বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তির তালিকায় থাকা অনিল আম্বানি এইমুহূর্তে কার্যত দেউলিয়া। তাদের আর.কম-এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, রিল্যায়েন্স কমিউনিকেশন, রিল্যায়েন্স টেলিকম ও রিল্যায়েন্স ইনফ্রাটেলের ঋণ যথাক্রমে ৪৯ হাজার কোটি, ২৪ হাজার কোটি এবং ১২ হাজার কোটি টাকা।

এই বিপুল ঋণের ভারে জর্জরিত অনিল আগেই জানিয়ে দেন যে, এইমুহূর্তে তাঁর তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও সম্পত্তি নেই। এমনকি, জীবনধারণের জন্যও তিনি স্ত্রী এবং সন্তানের উপরেই নির্ভরশীল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।