সংক্ষিপ্ত

ফের একবার শেয়ার সূচকে বড় পতন। 

জানা যাচ্ছে, প্রায় হাজার পয়েন্ট পড়ে গেছে সেনসেক্স। নিফটি নেমে গেছে প্রায় ৩০০ পয়েন্টের বেশি। যার জেরে লগ্নিকারীদের কার্যত, মাথায় হাত। সূচক যদি দ্রুত ঘুরে না দাঁড়ায় তাহলে লোকসান আরও বাড়বে।

বুধবার, ১৩ নভেম্বর বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) প্রায় ৯৮৪.২৩ পয়েন্টের পতন দেখা গেছে। যা প্রায় হিসেব ধরলে ১.২৫ শতাংশ। এদিন বাজার বন্ধ হওয়ার পর, ৭৭,৬৯০.৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যায় সেনসেক্স।

অন্যদিকে, সকালে বিএসই খোলার সময় যা ছিল ৭৮,৪৯৫.৫৩ পয়েন্ট। একদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮,৬৯০.০২ পয়েন্টে উঠে গেছিল সেনসেক্স।

ওদিকে শেয়ার সূচক পতনের একই ছবি দেখা গেছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেও (এনএসই)। দিনের শেষে যার সূচক থেমে যায় ২৩,৫৫৯.০৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ, নিফটি নেমেছে ৩২৪.৫০ পয়েন্ট। শতাংশের নিরিখে যা প্রায় ১.৩৬%। বাজার খোলার সময়ে ২৩,৮২২.৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছিল নিফটি। দিনের মধ্যে এই শেয়ার সূচক সর্বোচ্চ উঠেছে প্রায় ২৩,৮৭৩.৬০ পয়েন্ট। ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে যে, এদিন মাত্র ৬২৮টি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, দর পড়েছে ৩ হাজার ১৮০টি স্টকের।

আর ৯২টি শেয়ারের ক্ষেত্রে সেইরকম কোনও উত্থান-পতন লক্ষ করা যায়নি। নিফটিতে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে হিরো মোটোকর্প, হিন্দালকো, টাটা স্টিল, এম অ্যান্ড এম এবং আইশার মোটর্সের লগ্নিকারীদের। আর এই খারাপ বাজারেও লাভের মুখ দেখিয়েছে এনটিপিসি, ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ়, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার এবং টাটা মোটর্স। এদিন প্রায় সমস্ত সংস্থারই শেয়ারের দর ছিল প্রায় নিম্নমুখী।

গাড়ি নির্মাণকারী, সংকর ধাতু, রিয়্যাল এস্টেট, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিদ্যুৎ ও মিডিয়া সংস্থাগুলির স্টকের সূচক দুই থেকে তিন শতাংশ নেমে গেছে। বিএসইতে মাঝারি ও ছোট পুঁজির সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে ২.৫ এবং তিন শতাংশের পতন লক্ষ্য করা গেছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।