সংক্ষিপ্ত
কোন ব্যক্তির যদি সিবিল স্কোর খারাপ থাকে তাহলে কিন্তু সেই ব্যক্তির লোন পাওয়াটা খুবই সমস্যাজনক হয়ে পড়ে। অনেকক্ষেত্রে ব্যঙ্কগুলো সেই ব্যক্তিকে লোন পর্যন্ত দেয় না। তাই সিবিল স্কোর যাতে ঠিক থাকে সেই বিষয়গুলো মেনে চলুন।
আমরা প্রত্যেকেই কম বেশী লোন নিয়ে থাকি। তবে লোন (Loan)নেওয়ার নেওয়া ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলো সেই ব্যক্তির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজর রাখে। তার মধ্যে যেটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সেটি হল লোন গ্রোহিতার সিবিল স্কোর (CIBIL)। কোন ব্যক্তির যদি সিবিল স্কোর খারাপ থাকে তাহলে কিন্তু সেই ব্যক্তির লোন পাওয়াটা খুবই সমস্যাজনক হয়ে পড়ে। অনেকক্ষেত্রে ব্যঙ্কগুলো সেই ব্যক্তিকে লোন পর্যন্ত দেয় না। এক্ষেত্র অনেক সময় প্রশ্ন ওঠে, লোন নেওয়ার জন্য সিভিল স্কোরকে কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হয়ে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল, সিভিল স্কোর হলের মাধ্যমেই বোঝা যায়, একজন ব্যক্তি লোন পরিশোধে কতটা সক্ষম বা কতটা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ঋণ পরিশোধ করছেন। তাই ব্যাঙ্কগুলো যে ব্যক্তির সিভিল স্কোর খারাপ তাঁকে লোন দিচ্ছে না।
জরুরি পরিস্থিতিতেই লোনের প্রয়োজন হয়। তাই আপনাকে যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই জন্য আপনার সিবিল স্কোর ভাল রাখা অত্যন্ত জরুরি। আর আপনি কীভাবে এই সিবিল স্কোর ঠিক রাখবেন সেই সংক্রান্ত রইল কয়েকটি টিপস। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সিবিল স্কোর ঠিক রাখতে কোন কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-Loan Fraud Case: আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনেই লোনের ফাঁদ, সল্টলেকে টাকা খুইয়ে পথে বসলেন বহু মানুষ
আরও পড়ুন-৭ লাখ লোনের বিনিময়ে মিলবে ব্যবহৃত গাড়ি, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সুদের হার ভিন্ন
সঠিক সময় টাকা পরিশোধ
যে কোনও ধরনের বিল, যেমন ইলেকট্রিক, ক্রেডিট কার্ড সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিল সঠিক সময় পরিশোধ করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কারন আপনি যদি কোনও বিল বাকি রাখেন তাহলেই বিলের পরিমান বেড়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে হয়তো আপনার সুবিধা হতে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতে আপনার ওপরই চাপ পড়বে। আর সেই চাপ পরোক্ষভাবে সিবিল স্কোরের ওপরও প্রভাব ফেলবে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সতর্কতা
আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে খুব সতর্ক থাকুন। কার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার একপ্রকার ঋণ নেওয়ার মত। এই কার্ড ব্যবহার করে যে কোনও সময় লোন নেওয়া যায়। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের সীমা যেন ৩০ শতাংশ অতিক্রম না করে। আপনার ক্রেডিট কার্ডের সীমা যদি ৫০ শতাংশ বা তার বেশী হয় তাহলে আপনার সম্পর্কে ব্যাঙ্কের ধারনা হবে, আপনি হয়তো ধার-বাকি করেই জীবন চালান। সেক্ষেত্রে লোন পেতে সমস্যা হতে পারে। আরও একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, নতুন লোন বা ক্রেডিট কার্ড যদি নিতে চান তাহলে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় কখনই আবেদন করবেন না। এক্ষেত্রে আপনার সিবিল স্কোরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
বার্ষিক ৩ বার ক্রেডিট হিস্ট্রি বিবেচনা
আপনি অবশ্যই সিবিল রিপোর্টের ওপর নজর রাখুন। প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস অন্তর ক্রেডিট হিস্ট্রি অবশ্যই পর্যালোচনা করবেন। তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার ক্রেডিট স্কোর কেমন রয়েছে। যদি কোথাও ঋণ বাকি থাকে তাহলে আপনি সেই বিষয় সতর্ক হয়ে যান। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লোন শোধ করে ফেলুন। তাহলে আপনার সিবিল স্কোরও ঠিক থাকবে। প্রতি মাসে সিভিল স্কোর চেক করা উচিত নয়। কারণ এক্ষেত্রে আপনার আর্থিক স্থিতিশীলতী নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে বিশেষ নজর
আপনার যদি কারোর সঙ্গে ডয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে সেই দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখবেন। আপনার সঙ্গে যিনি অ্যাকাউন্ট গোল্ডার রয়েছেন তিনিও সঠিক সময় ঋণের অর্থ পরিশোধ করছে কিনা। মনে রাখবেন, জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে যদি একজন ঋণ পরিশোধে কোনও গণ্ডগোল করে তাহলে সেই প্রভাব পড়বে সিভিল স্কোরের ওপর। তাই সঠির সময় যাতে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের লোন পরিশোধ হয় সেটা অবশ্যই খেয়াল করবেন।