সংক্ষিপ্ত
সরকারের তরফে ক্রিপটো বিষয়ে জারি করা হল নতুন মত। ক্রিপটো লেনদেনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে সেবির হাতে। ক্রিপটো সংক্রান্ত যে বিল আনা হচ্ছে সেটিকে ক্রিপটোঅ্যাসেটস বলে সম্বোধন করা হবে।
প্রতিনিয়তই ক্রিপটোকারেন্সি(Cryptocurrency) প্রসঙ্গে উঠে আসছে নতুন তথ্য। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে ডিজিটাল কয়েন(Digital Coin) বা ক্রিপটোকারেন্সিকে(Crypto) মুদ্রা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ(Nirmala shitaraman)। কিন্তু সরকারের তরফে ক্রিপটো বিষয়ে জারি করা হল নতুন মত। ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Coin)বা ক্রিপটো লেনদেনের(Digital Transaction) যাবতীয় বিষয় খুঁটিয়ে দেখার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া(SEBI) বা সেবির হাতে। উল্লেখ্য ক্রিপটোকারেন্সিকে ফিনানসিয়াল অ্যাসেটের(Financial assets) আওতায় আনার জন্যই নতুন প্রচেষ্টা করা হচ্ছে সরকারের তরফে। মোদী সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে ক্রিপটোকারেন্সি নিয়ে নেতিবাচক মতপ্রকাশ করা হয়েছিল। আর সেখানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ডিজিটাল মুদ্রাকে(Digital Coin) কোনওভাবেই দেশীয় মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।
কিন্তু সেই নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন করা হচ্ছে। সম্প্রতি সরকারের তরফে ক্রিপটোকে দেশীয় মুদ্রা হিসাবে মান্যতা দেওয়ার জন্য পুরনো বিল সংশোধন করে নতুন বিল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্রিপটো সংক্রান্ত যে বিল আনা হচ্ছে সেটিকে ক্রিপটোঅ্যাসেট(Crptoassets) নামে সম্বোধন করা হবে। সুত্রের খবর, নতুন বিল কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কোনও প্ল্যানের সঙ্গে যোগ থাকবে না। এটি সম্পূর্ণ নিজস্ব ডিজিটাল কারেন্সি(digital Currency) সংক্রান্ত একটি বিল হতে চলেছে। আরও জানা এই নতুন বিল অনুযায়ী,নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বা দেড় বছরের জন্য কারাবসের সাজা দেওয়া হবে। এছাড়াও ছোট বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষিত রাখতে 'ক্রিপ্টোঅ্যাসেট(Cryptoassets)'-এ বিনিয়োগের জন্য ন্যূনতম সময় সীমাও নির্ধারণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন-Bitcoin Price: অর্থনৈতিক বাজারে রেকর্ড পতন বিটকয়েনের
তবে অর্থ মন্ত্নালয়ের তরফে ক্রিপটো সংক্রান্ত নয়া বিল ক্রিপটোঅ্যাসেট এবং তার নিয়মনীতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মত ব্যক্ত করা হয়নি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ গত সপ্তাহে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, সরকারের তরফে ক্রিপটো বিলের ওপর পুনরায় বিচার বিবেচনা করা হবে যেখানে সমস্ত রকম প্রাইভেট ক্রিপটোকারেন্সি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটি নতুন ডেভেলপমেন্টেরই একটি পন্থা বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বলা বাহুল্য,বিটকয়েনকে দেশীয় মুদ্রার মান্যতা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ভারতে ক্রিপটো মার্কেটের গ্রোথ ছিল ৬৪১ শতাংশ।সরকার খুব শীঘ্রই ক্রিপটো লেনদেনের ওপর কর বসাবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন আবার ক্রিপটোকারেন্সি নিয়ে মত প্রকাশ করে বলেছেন,ক্রিপটো ট্রেডিং-র জন্য সরকারের অজ্ঞেয়বাদী মনোভাব রাখা বাঞ্ছনীয়।