সংক্ষিপ্ত
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে ডেটা সেন্টার, এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম, ডেটা চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার আর গ্রিড স্কেল ব্যাটারি সিস্টেমকে ইনফ্রা তালিকায় সামিল করা হবে। ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার আর ক্লিন এনার্জি স্টোরেজের জন্য ঋণের সুবিধাও দেওয়া হবে। ১ এপ্রিল থেকে চালু হবে নতুন নীতি।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের (Budget) দিন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) থেকে গৌতম আদানি (gautam Adani), সুনীল মিত্তলের (sunil Mittal) মত বিজনেস টাইকুনরা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছেন। কারন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে, ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার (Digital Infrastructure) আর ক্লিন এনার্জি স্টোরেজের জন্য ঋণের সুবিধা দেওয়া হবে। ডেটা সেন্টার (Data Centre), এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম, ডেটা চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার আর গ্রিড স্কেল ব্যাটারি সিস্টেমকে ইনফ্রা তালিকায় সামিল করার কথাও ঘোষণা করেন। অর্থাৎ ভারত সরকার ডেটা সেন্টার আর এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমকে পরিকাঠামো সম্পদকে মান্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রসর হচ্ছে। এই ধরণের সংস্থাগুলোর উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করা হবে। বলাই বাহুল্য, সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে যথেষ্ঠ লাভবান হবেন আম্বানির মত শিল্পপতিরা।
বলা বাহুল্য, ভারত সরকার ডেটা সুরক্ষা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহল। সেই জন্যই ভারতে সব ধরনের ডেটা স্টোর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে কেন্দ্র। দেশী হোক বা বিদেশি ব্যবহারকারী আর গ্রাহকদের ডেটা ভারতে সুরক্ষিত থাকা উচিৎ বলে মনে করছে কেন্দ্র। সেই জন্য ১ এপ্রিল থেকে চালু হবে নতুন নীতি। ইতিমধ্যেই সরকার অনলাইন পেমেন্ট, ই-কমার্স আর কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে বিগ বুমের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে পরিষেবা শুরু হওয়ার পর ডেটা সুরক্ষার বিষয়টি অনেকবেশী সংবেদনশীল হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী বছর যাতে ভারতে ডেটা সেন্টার পরিষেবা আরও উন্নত করা যায় সেই জন্য এখন থেকেই ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে ডেভলপ করতে উদ্যোগী হচ্ছে সরকার।
আরও পড়ুন-Budget Session 2022: সংসদেও প্রকাশ্যে কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব, সনিয়ার চালে মাত আনন্দ শর্মা
আরও পড়ুন-Budget 2022: বাজেটে বাংলার ভাগ্যে জুটল কী, কতটা পালন হয়েছে প্রতিশ্রুতি
রিয়াল এস্টেট কনসাল্টেন্সি জেএলআই এর প্রধান কার্যকরী আধিকারিক রাধা ধীর জানিয়িছেন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ট্যাগ পাওয়ার পর কোম্পানিগুলি অনেক সস্তায় দীর্ঘমেয়াদী ইনস্টিটিউশনাল ঋণের সুবিধা পাবে। এই ঘোষণার ফলে বিনিয়োগও বাড়বে। ২০২১ এ ভারতের ডেটা সেন্টার ক্ষমতা ৪৯৯ মেগাবাইট ছিল। সরকারের এই ঘোষণার পর ২০২২ সালে এই ক্ষমতা বেড়ে দ্বিগুন হবে অর্থাৎ ১০০৮ মেগাবাইট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে গৌতম আদানি তাঁর স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, আদানি গোষ্ঠীকে গ্রিন ডেটা স্টোরেজে বিশ্বের প্রধান কোম্পানি গড়ে তোলাই তাঁর স্বপ্ন। আদানি গ্রুপ আগামীদিনে সম্পূর্ণভাবে ক্লিন পাওয়ারের উপর পরিচালিত হতে চায়। প্রাথমিকভাবে মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ আর নতুন দিল্লিতে ডেটা সেন্টার ডেভলপ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই একই বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এয়ারটেলের মালিক সুনীল মিত্তল বলেছিলেন, ডেটা সেন্টার ডেভলপমেন্টের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করবেন। ২০২৫ পর্যন্ত ডেটা সেন্টারের ক্ষমতা তিনগুন বাড়িয়ে ৪০০ মেগাওয়াট করার পরিকল্পনা রয়েছে এয়ারটেলের। অন্যদিকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এনার্জি স্টোরেজের জন্য গিগা ফ্যাক্টরির নির্মাণ করতে চলেছে।