সংক্ষিপ্ত
করোনা পরিস্থিতিতে স্টার্টআপের চাহিদা বেড়েছে অনেকাংশে। ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করার বিভিন্ন রকম আইডিয়া বিভিন্ন সময় পাওয়া যায়। স্বল্প পুঁজির বিনিময়ে শুরু করুন আলুর চিপসের ব্যবসা। হাজার টাকারও কম বিনিয়োগে মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে স্টার্টআপের (Startup) চাহিদা বেড়েছে অনেকাংশে। কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে মানুষ তাঁর কর্মসংস্থান হারিয়েছে, মাস মাইনেতে ঘাটতি হয়েছে, তাই আগামী দিনে যাতে ফের এই পরিস্থতির স্বীকার না হতে হয় সেই জন্য চাকরির পাশাপাশি স্টার্টআপের ট্রেন্ড ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই ঘরে বসে উপার্জনের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। নিজের মত করে ব্যবসা বাছাই করে আয়ের পথ প্রসস্থ করছে। যারা সত্যিই ঘরে বসে আয় করার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য রয়েছে ধামাকাদর এক আইডিয়া (Business Idea)। মাত্র ৯৫০ টাকা বিনিয়োগের বিনিময়ে ঘরে বসে ব্যবসা করে আয়ের এক দুর্দান্ত আইডিয়া রয়েছে আপনাদের জন্য। একদম স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগের (Low Investment) মাধ্যমে কী করে মোটা টাকা উপার্জন (Good Returns) করা যায় সেটাই হল এই স্টার্ট আপের (Startup) মূলমন্ত্র।
আসুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, চাকরির পাশাপাশি কী ধরনের স্টার্টআপ আপনার জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে। আকের বিজনেস আইডিয়াতে রয়েছে আলুর চিপস বা পটেটো চিপসের ব্যবসার (Potato Chips Business) আইডিয়া। এটা এমন একটা খাবার যা আট থেকে আশি সকলেরই খুব পছন্দের। মুচমুচে, মুখরোচক এই চিপস পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তাই বিভিন্ন লোকাল কোম্পানি থেকে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির আলুর চিপসের সমাহারে ছেয়ে গেছে বাজার। আপনি যদি বাড়িতে বসে হোমমেড আলুর চিপসের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে যে সেই ব্যবসায় লাভবান হবেন সেটা নিশ্চই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে আশানোরুপ সাফল্য না পেলেও কিছুদিনের মধ্যেই মোটা টাকা উপার্জনের পথ প্রসস্থ হয়ে যাবে।
বিভিন্ন ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে পুঁজিটাই সকলের কপালে একটা চিন্তার ভাঁজ ফেলে। ব্যবসা শুরুর আগে বিভিন্নখাতে টাকা ব্যায় করার প্রয়োজন হয়। অনেকরকম জিনিস কিনতে প্রচুর টাকাও খরচ করতে হয়। তবে এই ব্যবসায় মোটা টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। মাত্র ৮৫০ টাকার বিনিময়ে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনটি পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটেই এই মেশিন পাওয়া যায়। কাঁচামাল কিনতে খরচ হবে ধরুণ আরও ১০০ বা ২০০ টাকা। সব মিলিয়ে হাজার টাকার মত পুঁজি বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। উল্লেখ্য, কাঁচামালের যা খরচ তার থেকে প্রায় ৭ গুণ বা ৮ গুণ বেশী লাভের সুযোগ রয়েছে। একদিনে যদি ১০ কেজি আলুর চিপস তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন তাহলেই ঘরে আসবে হাজার টাকা। মাসে যে কদিন এই পরিমান চিপস বিক্রি করবেন সেই হিসাবে লাভ হবে আপনার। যদি ২০ দিন বিক্রি করেন তাহলে লাভ হবে কুড়ি হাজার টাকা। পরে ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়লে আয়ের পরিমানও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
আলুর চিপসে বুঁদ তেরো থেকে তিরাশি। আর হোমমেড আলুর চিপস হলে তো সোনায় সোহাগা। তাই আলুর চিপস তৈরির পর কীভাবে বিক্রি করবেন সেটা আপনার ওপর নির্ভরশীল। ইচ্ছে হলে আপনি অনলাইনেও এই ব্যবসা করতে পারেন। পাড়ার দোকানেও বিক্রি করতে পারেন।