সংক্ষিপ্ত
নতুন আবগারি নীতির আওতায় দিল্লি সরকারে নতুন সিদ্ধান্ত। কেজরিওয়াল সরকার দিল্লির সুরাপ্রেমীদের জন্য কমাল ড্রাই ডে-র সংখ্যা। ২১ থেকে কমে ৩ দিন করা হল ড্রাই ডে-র সংখ্যা।
শীতের মরশুমে দিল্লির (Delhi) সুরাপ্রেমীদের (Wine Lover)জন্য এসে গেল এক দুর্দান্ত খবর। সৌজন্যে অবশ্যই দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার (Delhi Government)। তাঁর নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে খুশি হবে দিল্লির আপামোর সুরাপ্রেমীরা। আপনি কী একজন দিল্লির বাসিন্দা...সেই সঙ্গে একজন সুরাপ্রেমীও...তাহলে আপনার মত সুরাপ্রেমীরা কেজরিওয়াল সরকারের (Arvind Kejriwal) জয়গান গাইবে। নতুন সিদ্ধান্ত জানার জন্য উদ্বেগ বাড়ছে নিশ্চই...আসুন তাহলে বলেই দেওয়া যাক রাজধানীর সুরাপ্রেমীদের জন্য কেজরিওয়ালের নেওয়া রাজকীয় সিদ্ধান্তটি কী। আসলে এতদিন পর্যন্ত দিল্লিতে ড্রাই ডে-র (Dry Day) সংখ্যা ছিল ২১ টি। এক ধাক্কায় সেই ড্রাই ডে-র সংখ্যা কমে হল ৩ (3 Dry Day In Delhi)। হ্যাঁ, দিল্লি সরকারের (Delhi Goverment) নতুন আবগারি নীতির (Excise policy) আওতায় অনেকখানি কমানো হল ড্রাই ডে-র সংখ্যা। এবার থেকে শুধু স্বাধীনতা দিবস (15th August), প্রজাতন্ত্র দিবস (26th January) আর গান্ধী জয়ন্তীতেই (2nd October) মদের দোকানগুলোর (Wine Shop) ঝাঁপ নামানো থাকবে। ১৫ অগাস্ট, ২৬ জানুয়ারি আর ২ অক্টোবর বাদে দিল্লিতে আর কোনও ড্রাই ডে থাকছে না। কেজরিওয়াল সরকারের (Kejriwal Government) আনা নতুন আবগারি নীতির (Excise Policy) আওতায় ড্রাই ডে-র সংখ্য়া কমানোর এই সিদ্ধান্তে সুরাপ্রেমীদের (Wine Lover) ঠোঁটের কোণায় এখন চওড়া হাসি।
দিল্লি সরকারের নতুন আবগারি নীতির ভিত্তিতে আবগারি দফতরের তরফে জারি করা নির্দেশ জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানগুলিই প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও গান্ধী জয়ন্তীতে বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ দিল্লিতে ড্রাই ডে- হিসাবে চিহ্নিত হবে এই বিশেষ তিনটি দিন। এই দিনগুলোতে গোটা রাজধানী জুড়ে পালিত হবে ড্রাই ডে, অর্থাৎ বন্ধ থাকবে মদের দোকান। তবে কেজরিওয়াল সরকারের নয়া আবগারি নীতির নির্দেশ অনুযায়ী, L-15 লাইসেন্স সহ হোটেলগুলিতে ড্রাই ডে-এর দিন মদ বিক্রির উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না। একইসঙ্গে আরও একটি বিষয় ইঙ্গিত দিয়েছে দিল্লি সরকার, সেটি হল দিল্লি সরকার যদি প্রয়োজনবোধ করে তাহলে ড্রাই ডে-র সংখ্যা আগামী দিনে বাড়ালেও বাড়াতে পারে বা অন্য কোনও দিনকে ড্রাই ডে হিসাবে চিহ্নিতও করতে পারে। বলা বাহুল্য, কেজরিওয়াল সরকারের নয়া আবগারি নীতির আওতায় শপিং মলে কেনাকাটার মতোই মদের দোকানে গিয়ে নিজেদের পছন্দ মতো ব্র্যান্ড কেনার সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। আসলে করোনাকালে মদের দোকানে ভিড় করে লাইনে দাঁড়ানোর ঝঞ্জাট থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল কেজরিওয়াল সরকার।
আরও পড়ুন-New Liquor Policy in MP: বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাড়িতে বাড়িতে মদ বিক্রির অনুমতি
অন্যদিকে মদের দোকানের ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে বেসরকারিকরণের পথে হেঁটেছে দিল্লি সরকার। সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ ঘন্টা করে খোলা থাকছে মদের দোকান। বর্তমানে মদের দোকানগুলিতে এসি-র বন্দোবস্তও রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে সিসিটিভি-র সুবিধাও। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও এই রাজ্যের সুরাপ্রেমীদের জন্যও অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী সবরকম মদের দাম জানার সুযোগ করে দিয়েছে।